আপনাকে কুষ্টিয়াশহর.কম এর পক্ষ হতে ঈদ মোবারক 🌙। বাংলা তথ্য ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে আমাদের এই প্রয়াস। ইতিহাস এবং ঐতিহ্যর তথ্য দিতে চাইলে ক্লিক করুন অথবা ফোন করুনঃ- ০১৯৭৮ ৩৩ ৪২ ৩৩

Select your language

ফকির লালন শাঁই

ফকির লালন শাঁই

ফকির লালন শাঁহ (Fakir Lalon Shah) সে দিন ভোর বেলা মওলানা মলম ফজরের নামাজ পড়ে কালীগঙ্গা নদীর দিকে হাওয়া খেতে আসলেন, হটাতই দেখতে পেলেন এক অচেনা সংজ্ঞাহীন যুবক অধঃজলমগ্ন অবস্তায় পড়ে আছে, ছেলেটির মুখে ও শরীরে বসন্ত রোগের দাগ বিদ্যমান। তিনি কাছে গিয়ে দেখলেন ছেলেটি বেঁচে আছে, খুব ধীরলয়ে চলছে শ্বাস-প্রশ্বাস। নিঃসন্তান হাফেজ মলমের বুকের ভেতর হু হু করে উঠল, এ কোন অচেনা যুবক নয়; খোদা যেন তাঁর সন্তানকে ভাসিয়ে এনেছেন তাঁর কাছে। মলম তৎক্ষণাৎ বাড়ি ফিরলেন এবং তাঁর অপর তিন ভাইকে সাথে নিয়ে আসলেন।

এবার চার ভাইয়ে ধরাধরি করে অচেতন যুবককে নিজের বাড়িতে আনলেন। মলম ও মতিজান দিন রাত পরম যত্নে সেবা করতে লাগলেন। দিনে দিনে অচেনা যুবকটির মুখে জিবনের আলো ফিরে এলো। মতিজান জিজ্ঞাসা করলো – বাবা তোমার নাম কি ?

---- ফকির লালন।

  • ফকির ইয়াসিন শাহ্‌ - Fokir Eyasin Shah

    লেখাপড়া না জানা ফকির ইয়াসিন শাহের আনুমানিক বয়স ৬৫ বছর।

  • ফকির মোকসেদ আলী শাহ্‌ - Fokir Moksed Ali Shah

    মোকসেদ আলী শাহ্‌ ওরফে মকছেদ আলী শাহ্‌

    মনটা আমার জন্ম বোকা
    সহজ পথেই খেলো ধোকা

    - ফকির মোকসেদ আলী শাহ্‌

  • খোদা বকস শাহ্‌ - Khoda Boks Shah

    খোদা বকস শাহ্‌ (১৩৩৪-১৩৯৭) চুয়াডাঙ্গা জেলার অধীন আলমডাঙ্গা থানার অন্তর্গত জাহাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

  • ফকির নিজামুদ্দিন শাহ্‌ - Fokir Nijamuddin Shah

    পুরো নাম ফকির নিজামুদ্দিন শাহ্‌, ডাক নাম নিজাম, ছেউড়িয়াতেই জন্ম বাংলা ১৩২৯ সালে। একুশ-বাইশ বছর বয়সে কুষ্টিয়া মোহিনী মিলে চাকুরী করতেন। চাকুরী বলতে তাঁতের কাজ।

  • ফকির আব্দুল করিম শাহ্‌ - Fokir Abdul Korim Shah

    অনেকটাই নিভৃতচারী ফকির আব্দুল করিম শাহের বয়স সাতাশি বছর, কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার অঞ্জনগাছী গ্রামে জন্ম নেয়া এই সাধক এক হাতে একতারা এবং কোমরে ডুগি বাজিয়ে হেঁটে হেঁটে গান করতেন। ছেলেবেলায় বাবা ঝুমুর আলী জোয়াদ্দারের সাথে পালাগান করতেন।

  • লালন কথা – অষ্টম এবং শেষ পর্ব

    শিষ্যদের বললেন, আমি চললাম। লালন চাঁদর মুড়ি দিয়ে বিশ্রাম নিলেন, শিষ্যরা মেঝেতে বসে থাকলেন। এক সময় লালন কপালের চাঁদর সরিয়ে বললেন, তোমাদের আমি শেষ গান শোনাব।

  • লালন কথা – ৭ম পর্ব

    লালনের ভাবশিষ্যরা বিশ্বাস করে যে শারিরীক প্রেম ভালোবাসার মধ্যে প্রকৃত শান্তি নেই; প্রকৃত শান্তি আছে স্বর্গীয় ভালোবাসায়। গুরুর নিকট দীক্ষা গ্রহনের পর সাধনার বিশেষ স্তরে পৌঁছুলেই কেবল শিষ্যকে খেলাফত প্রদান করা যায়।

  • লালন কথা – ৬স্ট পর্ব

    লালন ফকির ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মধ্য যে গভীর ভাববিনিময় ছিলো তাঁর একটি তথ্য বহুল বিবরণ পাওয়া যায় আবুল আহসান চৌধুরী রচিত “লালন শাঁয়ের সন্ধানে” নামক গবেষণা মূলক গ্রন্থে। লালনের গান রবীন্দ্রনাথকে কিভাবে প্রভাবিত করেছিলো তা তাঁর কবিতা পাঠ করলেই বোঝা যায়।

  • লালন কথা – ৫ম পর্ব

    লালন একাডেমীর খাদেম নিজাম উদ্দিনের বয়স বর্তমানে ৮৫ বছররের উপরে, তাঁকে লালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় আমার দাদাগুরু ভোলাই শাহের কাছে শুনেছি লালন রাতের বেলা দুধ দিয়ে খই ভিন্ন অন্য কোন খাদ্য খেতেন না। প্রায় সারারাত জেকের আসকার ও এবাদত করতেন, একটু পর পর পান খেতেন।

  • লালন কথা – ৪র্থ পর্ব

    ছেউড়িয়ায় কয়েক বছর থাকার পর লালন তাঁর শিষ্যদের ডেকে বললেন, আমি কয়েক দিনের জন্য বাইরে যাচ্ছি তোমরা আমার সাধন কক্ষটার দেখাশুনা করো। সপ্তাহ তিনেক পর তিনি একটি অল্পবয়স্কা সুশ্রি যুবতিকে নিয়ে ফিরলেন। মতিজান ফকিরানী জিজ্ঞাসা করলেন, মেয়েটি কে বাবা?

  • লালন কথা – ৩য় পর্ব

    লালন হিন্দু কি মুসলমান এনিয়ে বিস্তর মতামত পাওয়া যায়। কারো মতে লালন কায়স্থ পরিবারের সন্তান তাঁর পিতা মাধব এবং মাতা পদ্মাবতী; পরে লালন ধর্মান্তরিত হন। গবেষকদের মধ্য বেশিরভাগই মনে করেন লালন মুসলিম তন্তবায় পরিবারের সন্তান। তাঁর পিতার নাম দরিবুল্লাহ দেওয়ান, মাতার নাম আমিনা খাতুন।

  • লালন কথা – ২য় পর্ব

    আমৃত ফকির লালন ছেউড়িয়াতেই ছিলেন, মৃতর পর ছেউড়িয়ার আঁখরা বাড়িতেই তার সমাধি নির্মিত হয়। ছেউড়িয়াভিত্তিক লালনের জীবন বৃত্তান্ত বিস্তারিত খুঁজে পাওয়া যায় ফকির আনোয়ার হোসেন মন্টু শাহের সম্পাদিত লালন সঙ্গীত নামক গ্রন্থে।

  • লালন কথা – ১ম পর্ব

    কুষ্টিয়া শহরের অদূরে ছেউড়িয়া একটি ছায়াঘেরা নিবিড় গ্রাম। একপাশে গড়াই অন্যপাশে কালীগঙ্গা দু’টি বহমান নদী। আজ থেকে প্রায় দুইশত সতের বছর আগের একদিন ভোরবেলা ষোল সতের বছরের অচেতন লালন ভাসতে ভাসতে কালীগঙ্গা নদীর তীরে এসে ভিড়ল। ছেউড়িয়া গ্রামের মওলানা মলম কারিকর নামাজি লোক। তাঁর পিতা মুন্সি খায়রুল্লাহ। মুন্সি খায়রুল্লাহর চার পুত্র মলম, আলম, কলম ও তিলম কারিকর।

  • শেষ হল ১২৪তম তিরোধান দিবস লালন স্মরণ উৎসব

    শেষ হল ১২৪তম তিরোধান দিবস লালন স্মরণ উৎসব গত ২০শে অক্টোবর ২০১৪। লক্ষ লক্ষ লালন পাগলের পদধূলিতে মুখরিত ছিল লালন শাঁইজির আঁখড়াবাড়ী। দেশ বিদেশের অসংখ্য লালন ভক্ত ভিড় জমায় এই লালন স্মরণ উৎসবে। পাঁচ দিনের এই স্মরণ উৎসবে প্রতিদিন রাত দশ থেকে টানা ভোর চারটা পযন্ত লালনের গান পরিবেশন হয়।

  • কুষ্টিয়া শহরের ইতিহাস

    কুষ্টিয়াশাহী মসজিদ মোঘল আমল থেকে এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সাইন বহন করে। কুষ্টিয়া মীর মোশাররফ হোসেন (১৮৪৭-১৯১২), বাঘাযতীন(১৮৭৯-১৯১৫) এবং লালন ফকিরের (১৭৭৪-১৮৯০) সহ অনেক ঐতিহাসিক মানুষের জন্মস্থান। নোবেল বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই জেলার শিলাইদাহ (Shelaidaha) তার জীবনের একটি অংশ বসবাস করেন এবং সেখানে বসবাস করার সময় তার স্মরণীয় কবিতা কিছু তৈরি। তবে, ব্রিটিশ শাসনের সময় কুষ্টিয়া পৃথক একটি জেলা ছিল না - এটা (এখন পশ্চিম বঙ্গের) নদীয়া জেলার অংশ ছিল। কুষ্টিয়া পৌরসভা ১৮৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

  • ফকীর লালন শাঁহ

    লালন (জন্মঃ ১৭৭৪ - মৃত্যুঃ ১৭ অক্টোবর ১৮৯০ ইং) ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন বাঙালি; যিনি ফকির লালন, লালন সাঁই, লালন শাহ, মহাত্মা লালন ইত্যাদি নামেও পরিচিত। তিনি একাধারে একজন আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক। তিনি অসংখ্য গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। লালনকে বাউল গানের অগ্রদূতদের অন্যতম একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং ‘বাউল-সম্রাট’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। তার গানের মাধ্যমেই উনিশ শতকে বাউল গান বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

    লালন ছিলেন একজন মানবতাবাদী সাধক। যিনি ধর্ম, বর্ণ, গোত্রসহ সকল প্রকার জাতিগত বিভেদ থেকে সরে এসে মানবতাকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছিলেন। অসাম্প্রদায়িক এই মনোভাব থেকেই তিনি তার গান রচনা করেছেন। তার গান ও দর্শন যুগে যুগে প্রভাবিত করেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ও অ্যালেন গিন্সবার্গের মতো বহু খ্যাতনামা কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, বুদ্ধিজীবীসহ অসংখ্য মানুষকে। তার গানগুলো মূলত বাউল গান হলেও বাউল সম্প্রদায় ছাড়াও যুগে যুগে বহু সঙ্গীতশিল্পীর কণ্ঠে লালনের এই গানসমূহ উচ্চারিত হয়েছে। গান্ধীরও ২৫ বছর আগে, ভারত উপমহাদেশে সর্বপ্রথম, তাকে ‘মহাত্মা’ উপাধি দেয়া হয়েছিল।

  • বাউল সঙ্গীত

    বাউল সম্প্রদায়ের গানই হচ্ছে বাউল গান। বাংলা লোকসাহিত্যের একটি বিশেষ অংশ। বাউলরা তাদের দর্শন ও মতামত বাউল গানের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করে থাকে। বাউল মতে সতেরো শতকে জন্ম নিলেও লালন সাঁইয়ের গানের মাধ্যমে ঊনিশ শতক থেকে বাউল গান ব্যপক জনপ্রিয়তা অর্জন শুরু করে। তিনিই শ্রেষ্ঠ বাউল গান রচয়িতা। ধারণা করা হয় তিনি প্রায় দু'হাজারের মত গান বেধেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ বাউল গান দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন যা তার রচনাতে লক্ষ করা যায়।

    ইউনেস্কো ২০০৫ সালে বিশ্বের মৌখিক এবং দৃশ্যমান ঐতিহ্যসমূহের মাঝে বাউল গানকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ হিসেবে ঘোষনা করে।

  • লালন সঙ্গীত

    লালনের গান সঙ্গীত জগতে এক অভিনব সৃষ্টি। তাঁর গানের সুরের মধ্যে একটা বৈচিত্র রয়েছে। তাঁর গান ভাব প্রধান হলেও সুর ও তালের মিলনে এই গান সত্যিই অপূর্ব। তার গানে রয়েছে ভক্তি রসের আবেশ। রয়েছে বিহ্বলতা। এই বিহ্বলতা শুধু গায়ক নয়, শ্রোতার মনেও শিহরণ তোলে। গায়ক যখন তন্ময় হয়ে গান গায়, শ্রোতা তখন বিহ্বল হয়ে শোনে। তাঁর গানে বাংলার সোঁদা মাটির গন্ধ রয়েছে। মানুষের মনের সুর ব্যাক্ত হয়েছে। তার গান তাই মানুষকে অভিভূত করে, মানুষের হৃদয়কে বিগলিত করে।

  • লালনের গান তত্ত্ব

    লালনের গান সঙ্গীত জগতে এক অভিনব সৃষ্টি। তাঁর গানের সুরের মধ্যে একটা বৈচিত্র রয়েছে। তাঁর গান ভাব প্রধান হলেও সুর ও তালের মিলনে এই গান সত্যিই অপূর্ব। তার গানে রয়েছে ভক্তি রসের আবেশ। রয়েছে বিহ্বলতা। এই বিহ্বলতা শুধু গায়ক নয়, শ্রোতার মনেও শিহরণ তোলে। গায়ক যখন তন্ময় হয়ে গান গায়, শ্রোতা তখন বিহ্বল হয়ে শোনে। তাঁর গানে বাংলার সোঁদা মাটির গন্ধ রয়েছে। মানুষের মনের সুর ব্যাক্ত হয়েছে। তার গান তাই মানুষকে অভিভূত করে, মানুষের হৃদয়কে বিগলিত করে।

  • লালন স্মরণ উৎসব ২০১৪

    প্রতিবারের ন্যায় এবারও লালন ভক্তরা চাতক পাখির মতো চেয়ে আছে। কখন আসবে সেই ক্ষণ? লালন ফকির শাইজি ১৭ অক্টোবর ১৮৯০ (১১৬ বছর) রে তিনি মৃত্যু বরন করেন। বাংলা মাসের পহেলা কার্ত্তিক মৃত্যু বরন করেন যত দূর জানা যাই। তিনি ছিলেন গান পোকা।

সর্বশেষ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

তথ্য সম্পর্কে খবর

আমাদের নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন এবং আপডেট থাকুন
আমরা কুকিজ ব্যবহার করি
আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে কুকিজ ব্যবহার করি। তাদের মধ্যে কিছু সাইট পরিচালনার জন্য অপরিহার্য, অন্যরা আমাদের এই সাইট এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করতে সাহায্য করে (কুকিজ ট্র্যাক করা)। আপনি কুকিজকে অনুমতি দিতে চান কিনা তা আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। দয়া করে মনে রাখবেন যে আপনি যদি সেগুলি প্রত্যাখ্যান করেন তবে আপনি সাইটের সমস্ত কার্যকারিতা ব্যবহার করতে পারবেন না।