ধর্মতত্ত্ব

ধর্মতত্ত্ব (ইংরেজি ভাষায়: Theology) দর্শন কেন্দ্রিক জ্ঞানের একটি ক্ষেত্র যাতে ধর্মীয় অনুমান এবং আত্মপক্ষসমর্থনবিদ্যা (apologetics) সংক্রান্ত বিষয়াদি আলোচিত হয়। উৎপত্তির প্রেক্ষাপট এবং ঐতিহাসিকভাবে ধর্মতত্ত্ব খ্রিস্টান ধর্মের সাথে বেশি সম্পৃক্ত যদিও পরবর্তীকালে সকল ধর্মের (বিশেষ করে ইসলাম এবং ইহুদি ধর্ম) অধ্যয়নই এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সেদিক থেকে বলা যায়, ধর্ম, ধর্মের প্রভাব এবং ধর্মীয় সত্যের প্রকৃতি নিয়ে পদ্ধতিগত ও যৌক্তিক অধ্যয়নের নামই ধর্মতত্ত্ব। জ্ঞানের এই শাখার বহুল আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ঈশ্বর, মানবতা, বিশ্বজগৎ, নির্বাণ বা মুক্তি এবং পরলোকতত্ত্ব।

- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটাগরিঃ ধর্মতত্ত্ব
- পঠিত হয়েছেঃ 1214
রমজান ইসলামী ক্যালেন্ডারের নবম মাস এবং এটি মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র একটি সময়। ২০২৫ সালের রমজানের গুরুত্ব নিম্নলিখিত দিকগুলো থেকে বিবেচনা করা যেতে পারে:

- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটাগরিঃ ধর্মতত্ত্ব
- পঠিত হয়েছেঃ 18420
বছরের বিভিন্ন সময়ে মুসলমানরা যে অনেক ভক্তিমূলক অনুশীলন পালন করে তার মধ্যে একটি হল রোজা (সাওম)। মুসলমানদের রোজার বিভিন্ন উপায় রয়েছে, যার মধ্যে সব ধরনের আত্মসংযম রয়েছে। এর মধ্যে আছে খাওয়া-দাওয়া না করা, গরীবকে খাওয়ানো, আল্লাহর স্মরণে মগ্ন থাকা, পরচর্চা করা বা অশ্লীল কথা না বলা, চোখ বা মুখে লোভী না হওয়া, নম্রতা দেখানো এবং নিজেকে শুদ্ধ করা।

- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটাগরিঃ ধর্মতত্ত্ব
- পঠিত হয়েছেঃ 16338
আপনি কি জানেন রমজান মাসে দান করার সওয়াব বেশি? আপনি কি জানেন "রমজান" শব্দটি "তাপ" শব্দ থেকে এসেছে? যথেষ্ট আকর্ষণীয়?

- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটাগরিঃ ধর্মতত্ত্ব
- পঠিত হয়েছেঃ 5826
হযরত শাহ্ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী ছিলেন একাদশ শতাব্দীর একজন সুফি মুসলিম ব্যক্তিত্ব। বলা হয়ে থাকে তিনি প্রথম সুফি যিনি বাংলায় ভ্রমণ ও বসতি স্থাপন করেছিলেন। নেত্রকোণায় ইসলামের প্রসারে তার নাম জড়িত আছে।

- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটাগরিঃ ধর্মতত্ত্ব
- পঠিত হয়েছেঃ 14668
শবে বরাত ফারসি ভাষার শব্দ। ‘শব’ অর্থ রাত। আর ‘বরাত’শব্দের অর্থ সৌভাগ্য। আরবিতে একে বলে লাইলাতুল বরাত, সৌভাগ্য রজনী। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, মহান আল্লাহ এ রাতে বান্দাদের গুনাহ মাফ করে দেন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন।

- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটাগরিঃ ধর্মতত্ত্ব
- পঠিত হয়েছেঃ 4697
ফানাফিল্লাহ, বাকিবিল্লাহ, মাহবুবে ছোবহানী, কুতুবে রব্বানী, গাউছে ছামদানী, সুলতানুল আউলিয়া দরগাহ ছৈয়দ মৌলানা করম আলী শাহ (রঃ) শের ছওয়ার মাহবুবে এলাহীর দরগাহ শরীফ। সীতাকুন্ড কুমিরাস্থ হযরত সৈয়দ মাওলানা করম আলী শাহ(রাঃ) প্রকাশ ডাল চাউল মিয়া।

- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটাগরিঃ ধর্মতত্ত্ব
- পঠিত হয়েছেঃ 3081
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) নবুয়ত লাভের পর মক্কায় ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু করেন। ইসলাম প্রচারের কারণে কুরাইশরা মহানবী (স.) ও তার ‘সাহাবাদের (রা.) ওপর নির্মম অত্যাচার ও নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের পরও মহানবী (স.) দ্বীনের দাওয়াত চালিয়ে যেতে থাকলে কুরাইশরা এক পর্যায়ে মহানবীকে (স.) হত্যা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে।

- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটাগরিঃ ধর্মতত্ত্ব
- পঠিত হয়েছেঃ 5463
১৩০৩ সালে হযরত শাহজালাল (রাঃ) ইসলাম প্রচারের জন্য ৩৬০ জন আউলিয়া নিয়ে এসেছিলেন সিলেটে। এই ৩৬০ জন শিষ্যের মাঝে অন্যতম ছিলেন সৈয়দ আহম্মদ গেছুদারাজ (রাঃ)। তিনি হযরত শাহজালাল (রাঃ) খুব কাছের লোক ছিলেন। আখাউড়ার খড়মপুরে অবস্থিত হযরত সৈয়দ আহম্মদ গেছুদারাজ (রাঃ) এর দরগাহ যা কেল্লা শহীদের দরগাহ বা কেল্লা শাহ্ নামে সমগ্র দেশে পরিচিত।

- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটাগরিঃ ধর্মতত্ত্ব
- পঠিত হয়েছেঃ 4341
জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমি (ফার্সি: جلالالدین محمد رومی)(১২০৭ – ১৭ডিসেম্বর ১২৭৩), অথবা পরিচিত আছেন জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ বালখী, মাওলানা রুমি, মৌলভি রুমি নামে তবে শুধু মাত্র রুমি নামে বেশি জনপ্রিয়। তিনি ছিলেন ১৩ শতকের একজন ফার্সি সুন্নি মুসলিম কবি, আইনজ্ঞ, ইসলামি ব্যক্তিত্ব, ধর্মতাত্ত্বিক, অতীন্দ্রিবাদী এবং সুফী। রুমির প্রভাব দেশের সীমানা এবং জাতিগত পরিমণ্ডল ছাড়িয়ে বিশ্বদরবারে ছড়িয়ে পড়েছে; ফার্সি, তাজাকিস্তানী, তুর্কি, গ্রীক, পাস্তুন, মধ্য এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার মুসলামানরা গত সাত দশক ধরে বেশ ভালভাবেই তার আধ্যাত্নিক উত্তরাধিকারকে যথাযথভাবে সমাদৃত করে আসছে।

- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটাগরিঃ ধর্মতত্ত্ব
- পঠিত হয়েছেঃ 4988
শাহ্ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী (জন্ম: অজ্ঞাত - মৃত্যু ১০৫৩ খ্রীঃ) একজন সুফি দরবেশ। নেত্রকোণা সদর উপজেলার মদনপুর নামক স্থানে শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমীর সমাধি রয়েছে। ১০৫৩ খ্রীস্টাব্দের কিছু পূর্বে পশ্চিম এশিয়ার তুরস্কের সেলজুক রাজ্য থেকে সুফী সাধক শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী(রহঃ)-র আগমন বলে কথিত আছে।

- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটাগরিঃ ধর্মতত্ত্ব
- পঠিত হয়েছেঃ 5495
হযরত শাহ সুলতান বলখী মাহিসওয়ার (রঃ) ছিলেন চৌদ্দ শতকের দরবেশ। এই মহাপুরুষ ইসলাম প্রচার করার উদ্দেশ্যে সুদূর বল্লখদেশ থেকে এই বগুড়া মহাস্থান গড়ে আগমন করেন। এখানে এসে হিন্দু রাজা পরশুরামকে পরাজিত করেন এবং ইসলাম ধর্ম সুপ্রতিষ্ঠিত করে এখানেই শায়িত আছেন।

- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটাগরিঃ ধর্মতত্ত্ব
- পঠিত হয়েছেঃ 3875
সুলতান-উল-হিন্দ, খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (আরবি: ششتى - চিশতী) হলেন চিশতীয় ধারার ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত সুফি সাধক। তিনি গরিবে নেওয়াজ (غریب نواز) নামেও পরিচিত। মইনুদ্দিন চিশতীই উপমহাদেশে প্রথম এই ধারা প্রতিষ্ঠিত ও পরিচিত করেন। তিনি ১১৩৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন খোরাসান (আধুনিক আফগানিস্তানে) বা এসফাহন (আধুনিক ইরানে) ও ১২৩৫ সালে পরলোকগমন করেন অজয়ামেরু, চৌহান সামবার (বতর্মান অজমের, রাজস্থান, ভারত)।

- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটাগরিঃ ধর্মতত্ত্ব
- পঠিত হয়েছেঃ 4421
সুলতান-উল-মাশায়েখ, মেহবুব-এ-ইলাহী, শেখ খাজা সৈয়দ মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন আউলিয়া (১২৩৮ - ৩ এপ্রিল ১৩২৫) হযরত নিজামুদ্দিন নামেও পরিচিত, হলেন ভারতীয় উপমহাদেশে চিশতিয়া তরিকার একজন প্রখ্যাত সূফি সাধক। ভারতে চিশতিয়া তরিকার অন্যতম মহান সূফি সাধকদের মধ্যে তিনি একজন।

- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটাগরিঃ ধর্মতত্ত্ব
- পঠিত হয়েছেঃ 4746
কারবালার যুদ্ধ ইসলামিক পঞ্জিকা অনুসারে ১০ মুহাররম ৬১ হিজরী মোতাবেক ১০ অক্টোবর ৬৮০ খ্রিস্টাব্দ বর্তমান ইরাকের কারবালা নামক প্রান্তরে সংগঠিত হয়েছিল। এই যুদ্ধটি ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা) এর নাতি হোসাইন ইবন আলী (রা) এর অল্প কিছু সমর্থক এবং আত্মীয় এবং উমাইয়া খলিফা ইয়াজীদ ১, যার বৈশ্যতা স্বীকার করতে হোসাইন (রা) অস্বীকার করেন, তার বিশাল সেনাবাহিনীর মধ্যে সংগঠিত হয়। এই যুদ্ধে হোসাইন এবং তাঁর ছয় মাস বয়সী শিশুপুত্র আলী আল-আসগর ইবন হোসেইনসহ সকল সমর্থক নিহত হয় ও নারী এবং শিশুরা বন্দি হন। মুসলমানদের মতানুসারে নিহতদের সকলে 'শহীদ' হিসেবে অভিহিত হন এবং এই যুদ্ধ শিয়া মতাবলম্বীদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের কেন্দ্রস্থলে অবস্থান করে।

- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটাগরিঃ ধর্মতত্ত্ব
- পঠিত হয়েছেঃ 3290
সুন্নাহতে এ কথা প্রমাণিত যে, যে ব্যক্তি কুরবানী দেওয়ার ইচ্ছা বা সংকল্প করেছে তার জন্য ওয়াজিব; যুলহাজ্জ মাস প্রবেশের সাথে সাথে কুরাবানীর পশু যবেহ না করা পর্যন্ত সে যেন তার দেহের কোন লোম বা চুল, নখ ও চর্মাদি না কাটে। এ বিষয়ে প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘‘যখন তোমরা যুলহাজ্জ মাসের চাঁদ দেখবে এবং তোমাদের মধ্যে কেউ কুরবানী করার ইচ্ছা করবে, তখন সে যেন কুরবানী না করা পর্যন্ত তার চুল ও নখ (কাটা) হতে বিরত থাকে।’’ অন্য এক বর্ণনায় বলেন, ‘‘সে যেন তার (মরা বা ফাটা) চর্মাদির কিছুও স্পর্শ না করে।’’

- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটাগরিঃ ধর্মতত্ত্ব
- পঠিত হয়েছেঃ 3471
কুরবানী শব্দের উৎপত্তি হলো কুরবান শব্দ থেকে। কুরবান শব্দের অর্থাৎ নৈকট্য, সান্নিধ্য, উৎসর্গ। সুতরাং কুরবানী অর্থ উৎসর্গ করার মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলার নৈকট্য লাভ করা। মানব ইতিহাসে সর্বপ্রথম কুরবানী হল হযরত আদম (আঃ) -এর দুই পুত্র হাবিল ও কাবিলের কুরবানী। কাহিনীটি সূরা মায়েদার ২৭ নম্বর আয়াতে বর্ণিত হয়েছে।

- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটাগরিঃ ধর্মতত্ত্ব
- পঠিত হয়েছেঃ 4230
আরব জাতি (الشعب العربى وأقوامها)
মধ্যপ্রাচ্যের মূল অধিবাসী হ’লেন আরব জাতি। সেকারণ একে আরব উপদ্বীপ (جزيرة العرب) বলা হয়। আরবরা মূলতঃ তিনটি সম্প্রদায়ে বিভক্ত। ১. আদি আরব (العربُ البائدةُ) যারা আদ, ছামূদ, আমালেক্বা প্রভৃতি আদি বংশের লোক। যাদের বিস্তৃত ইতিহাস পাওয়া যায় না। ২. ক্বাহত্বানী আরব (العربُ العارِبَةُ)। যারা ইয়ামনের অধিবাসী। এরা ইয়া‘রাব বিন ইয়াশজাব বিন ক্বাহত্বানের বংশধর। ৩. ‘আদনানী আরব (العربُ الْمُسْتَعْرِبَةُ)। এরা ইরাক থেকে আগত ইবরাহীম-পুত্র ইসমাঈল (আঃ)-এর বংশোদ্ভূত ‘আদনান-এর বংশধর। এদের বংশেই রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর জন্ম হয়।

- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটাগরিঃ ধর্মতত্ত্ব
- পঠিত হয়েছেঃ 4478
আদম (আঃ) থেকে নূহ (আঃ) পর্যন্ত দশ শতাব্দীর ব্যবধান ছিল। যার শেষদিকে ক্রমবর্ধমান মানবকুলে শিরক ও কুসংস্কারের আবির্ভাব ঘটে এবং তা বিস্তৃতি লাভ করে। ফলে তাদের সংশোধনের জন্য আল্লাহ নূহ (আঃ)-কে নবী ও রাসূল করে পাঠান। তিনি সাড়ে নয়শত বছরের দীর্ঘ বয়স লাভ করেছিলেন এবং সারা জীবন পথভোলা মানুষকে পথে আনার জন্য দাওয়াতে অতিবাহিত করেন।