আপনাকে কুষ্টিয়াশহর.কম এর পক্ষ হতে ঈদ মোবারক 🌙। বাংলা তথ্য ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে আমাদের এই প্রয়াস। ইতিহাস এবং ঐতিহ্যর তথ্য দিতে চাইলে ক্লিক করুন অথবা ফোন করুনঃ- ০১৯৭৮ ৩৩ ৪২ ৩৩

Select your language

বাউলদের যৌন চিন্তা ১৮+
বাউলদের যৌন চিন্তা ১৮+

ঘাটে নামবে কিন্তু জল ঘোলা করবে না

রুক্ষ্ম বাবরী চুল। গোঁফের বাহাদুরী। হাতে একতারা এবং ডুগডুগির টুং টাং শব্দ। পায়ে একজোড়া কাঠের খরম। ইদানিং চপ্পল, গায়ে কখনও সাদা বা গেরুয়া রঙের থানকাটা কাপড়ের পাঞ্জাবী এবং পরনে সেলাইছাড়া লুঙ্গি। সাধারণ মানুষের চেয়ে একটু বিচিত্রতা তাদের। যাদের মন-মনন, জীবন, জগৎ সংসার, চলাফেরা, আঁচার-ব্যবহার অন্যদের চেয়ে কিছুটা হলেও ভিন্ন। একটু ভিন্ন ধাঁচের গান শুনলেই এদেরকে চেনা যায় তারা হলো বাউল। অর্থাৎ বা-উল কিংবা বাতাসের মধ্যে অনুসন্ধানের যে জিঘাংসা সেই অনুসন্ধানকারী মানুষই হলো বাউল।

বাউল মতবাদ পৈত্রিক কোন ধর্ম নয়। ভারত এবং মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিবাদী ধর্ম এবং সামাজিক আন্দোলন থেকে এই মতবাদকে আবিস্কার করার উৎস বলে মনে করা যায়। প্রাচীন এক ঐতিহ্য গুরু সূত্রস্য ও পরম্পরায় বাহিত এবং পরিবাহিত হয়ে বাউল তত্ব বয়েই চলেছে। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ইহজাগতিক অমানবীক দর্শন,ধর্মীয় কথায় জড়িয়ে দেওয়া কুসংস্কার অথবা সামাজিক অনৈতিক রীতি-নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী স্রােতের সম্মিলিত রূপই বাউল। বৌদ্ধ, বৈদিক, সুফি,বামাচারী সাধকের সাধনা, তন্ত্র, বৈষ্ণবতায় বা বৈষ্ণব সহজিয়া সাধকের ধ্যান বা জ্ঞানে বাউল মতবাদের জন্ম হয় নাই। মুলত: লোক সমাজের প্রতিবাদ থেকে এর জন্ম। প্রতিবাদের পরেও প্রতিবাদই একে পুষ্ট করে এবং বাঁচিয়ে রাখে। চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় দশম শতকের নাঢ় পন্ডিত এবং তাঁর স্ত্রী নাঢ়ীকে বাউল মতের আদি প্রবক্তা মনে করেন।

বাউলদের উদ্ভব বা বিকাশ যে ভাবেই হোক না কেন, বাংলাদেশের বাউলেরা দুই ধারায় দর্শন প্রচার করে থাকে। প্রথমত: বৈষ্ণব সহজিয়া মতবাদ এবং দ্বিতীয়ত: হলো সুফি মতবাদ। তবে এই দুই ধারার বাউলদের বিশ্বাস উপস্থিত এক জায়গাতে। ‘‘ যা আছে ব্রম্মান্ডে, তা আছে এই দেহ ভান্ডে।’’ অর্থাৎ প্রকৃতি এবং সৃষ্টি রহস্যের তাবৎ অনুচ্ছায়া আমাদের শরীরে বিদ্যমান। আবার বাউলদের জীবন-যাপন দুই ধরণের। এরা এক হলো গৃহী, দুই হলো যোগী বা সন্ন্যাসী। অন্য বৈশিষ্ট্য যাই থাকুক না কেন সকল বাউলেরা সঙ্গীত সাধন করে থাকেন। যোগী বা সন্ন্যাসী বাউলের দেখা মেলা ভার এখন এই দেশে। এ জন্য আমাদের সামাজিক নিরাপত্তার দূরবস্থা অনেকটা দায়ী। আমাদের দেশে গৃহী বাউলের সংখ্যা বেশি। এদের বসবাস আবার দেশের উত্তর এবং দক্ষিণ অঞ্চলেই বেশি। হিন্দু কিংবা মুসলমান যে ধর্মের বাউলই হোক না কেন এদের মধ্যে ধর্মে কোন বিভেদ নেই। এরা উভয়েই পরিচ্ছন্ন, শান্ত এবং তাঁরা গোষ্ঠীবদ্ধ। এরা যে কোন সামাজিক কোন্দলকে এড়িয়ে চলে। এরা সরল এবং সাবলীল জীবন যাপন পছন্দ করে। এরা যৌক্তিকতা পোষণ করে তবে বাহাস বা তর্ক নয়। ধর্মান্ধ মৌলবাদিরা বাউলদের শত্রু। বাংলা ১৩ শতকের ত্রিশ দশকে বাউলেরা এদের দ্বারা প্রবল বিরোধীতার সম্মুখীন হয়েছিল। যশোহর, রাজশাহী এবং কুষ্টিয়াতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিজয় সরকার, পাগলা কানাই, গগণ হরকরা, মহামতি লালন এবং কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের কারণে বাউল সাধন চর্চ্চা গতি পেয়েছিল। তবে এক্ষেত্রে সুফিবাদের প্রভাবকে ছোট করে দেখাও ঠিক হবে না। পীর মাশায়েকদের মাধ্যমে সুফিবাদের প্রভাব ঘটেছিল এ অঞ্চলে।

কেও কেও মনে করেন, বিন্দু সাধনা থেকে বাউল ধারার উৎস এসেছে। অর্থাৎ বিন্দু সাধনাকে রূপান্তরীত করে এসেছে বাউল মতবাদ। বিন্দু, হাওয়া, নিরঞ্জন, প্রাণপাখি এমন এক শুটকীটের অনেক নাম। আবার ইড়া, পিঙ্গলানাড়ী, সুষমা এ সকলকে নিয়ন্ত্রণ করে বীর্য ক্ষমতাকে ধারণ করাই বাউল সাধনার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। তবে এই বিন্দুর সাথে আরো চারটি বিষয়কে সংযত পর্যায় রাখতে হয়। কিন্তু তা ইচ্ছে করলেই পরিত্যার্য নয়। তা হলো, রজ:,মল,মূত্র এবং বীর্য। বাউলদের মতে এগুলো হলো তাদের ভাষায় চারি চন্দ্র। এগুলো বায়ু,পানি ও আগুনের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। বাউলেরা বিশ্বাস করেন এই বিষয়গুলো দিয়ে মানব শরীর গঠিত হয়। সুতরাং সাধনার উপজীব্য বলতে এগুলো গুরুত্বপূর্নও বটে। বাউলধারা আরো মনে করে, দীর্ঘ জীবন এবং অসুখ-ব্যাধি থেকে রেহাই পেতে শরীরে সৃষ্ট জিনিস শরীর ফিরে পেলে তা সম্ভব হয়। রজ:,মল,মূত্র এবং বীর্য এই চারি চন্দ্রের সমাহারে বাউলেরা ‘প্রেম ভাঙ্গা’ নামে পেঁপের বীজের মত দেখতে একধরনের বটিকা তৈরী করে এবং তা নিয়মিত মুখের মধ্যে দিয়ে রাখে। বাউলেরা বিশ্বাস কারেন এই বটিকার কারণে তাদের জটিল অসুখ-বিসুখ হয় না। তাঁরা আরো বিশ্বাস করেন, দীর্ঘস্থায়ী এবং জটিল রোগের হাত হতে রেহাই পেতে নারীদের বুকের দুধ নাকি পান করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। এমনকি এই দুধ পান করলে দীর্ঘ সময় যৌবণকে ধরে রাখা যায়। তবে আর যাই হোক বাউলদের জীবন চলে তাদের ভক্তিবাদ এবং দেহতত্বের গান পরিবেশনা দিয়ে। তাদের গানের শব্দ এবং সুরের মধ্যে লুকিয়ে থাকে তাদের ধর্ম জ্ঞান, বিশ্বাস, কর্তব্য সমুহ। বাউলদের গানের কথাগুলো বেশ দূর্বোধ্য। গুরুসাধনায় সফল হলে, তাঁরা এই গানের সাধনতত্ত্ব উপলদ্ধি করতে পারেন। গুরু সাধনের মাধ্যমে শিষ্যের বিনির্মাণ সম্ভব। এই বিনির্মান হলে দেহ থেকে আত্মার মুক্তির উপায় হিসেবে তা বিবেচিত হয়।

সঙ্গিনী ছাড়া বাউলধারা একেবারেই মিছে। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী রূপে অথবা নির্বাচিত সঙ্গিনী হিসেবে বাউল দর্শন বা তাদের ক্রিয়াকলাপ সমুহ পালন করে থাকেন। লোক ধর্মগুলোতে সন্তান জন্ম দেয়া যায়। বাউল ধারায় সন্তান জন্মের কোন স্থান নেই। নি:সন্তান সাধক বাউলেরা বাউল ধারায় পরম শ্রদ্ধেয়। বৈষ্ণব-বৈষ্ণমীদের সন্তান হলে আখড়া বাসের অধিকার থাকে না। তবে কর্তাভজাদের সন্তান দেয়া অসাধুত্বের লক্ষণ না হলেও বাউলরা কিন্তু পতিকে ভজনা করেন, তবে সৃষ্টিকে করেন না। পশু মাংসের জন্য অন্ধ বিচারহীন তীব্র কামনা, ক্রোধ, হিংস্রতা প্রভৃতি আসে। ডিম ও মাংস মানবদেহে কামনা বৃদ্ধি করে এবং উত্তেজনা ছড়ায়। বাউলেরা বলে পৃথিবীর বাইরে কোন সুখ-দু:খ নেই। দেহ বহির্ভূত কোন আল্লাহ নেই। দুই না হলে কোন সৃষ্টি হয় না। বাউলেরা গৃহস্থ এবং ত্যাগীদের মধ্যবর্তী অবস্থানে থাকে। সন্তান, সম্পত্তি, ভোগবাদে তাদের অনীহা। তাদের অম্বিষ্ট সাধুত্ব এবং আত্মস্বার্থহীন মানবতা ।

বাউলেরা মনে করেন ‘শ্বাস’ কে যদি নিয়ন্ত্রণ করা যায় তবে জীবনকে সবচেয়ে বেশি উপভোগ্য করা সম্ভব। নিজেদের শ্বাস কে ভিত্তি করে বাউলরা তাদের যৌন জীবনকে ভোগ্যময় করে গড়ে তোলে। যৌন মিলনের সময় কখন কিভাবে নসারন্ধ্রের কোন পার্শ্বদিয়ে শ্বাস প্রবাহিত হচ্ছে এবং পুরুষদের যে র্প্শ্বা ব্যবহার হয় তখন নারীদের কোন পাশে শ্বাস প্রবাহিত হয় কিংবা কোন পাশ ব্যবহার করা উচিৎ তার কৌশল ও ক্রিয়া কলাপের বিষয় রপ্ত করে নিতে হয়। যৌন বির্যপাতের সময় শ্বাস প্রবাহ বন্ধ করে রাখতে হয়। এভাবে সময় ক্ষেপণ করে আবারও তারা যৌন কাজে লিপ্ত হয়ে থাকেন। এতে দীর্ঘক্ষণ তারা যৌনতাকে উপভোগ করে। তবে পুরুষ বাউলেরা এক্ষেত্রে নিজেদের সাথে নারীদেরকে উপভোগ্য করে তোলে।

বাঙালি অন্য মেয়েদের মত বাউল মহিলাদের যৌন জীবন পদ্ধতিতে মিল পাওয়া গেলেও পুরুষদের ক্ষেত্রে বাউল ধারাটা যৌনচারে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। তাত্ত্বিকতায় বাউলেরা ভাবেন, অটল বা মুলবস্তুর নির্গম সম্পুর্ণবন্ধ করা অসম্ভব এবং তা শরীরের জন্য ক্ষতি করে। পুরুষের মুলবস্তু না পেলে নারীদের দেহ নষ্ট হয়। পুরুষ বাউলেরা নারীদেরকে চরম আনন্দের এক ক্ষেত্র হিসেবে ভেবে থাকেন। তাঁরা এটাই ভাবেন যে নারীদের ছাড়া পুরুষদের বাউল সাধনা একেবারেই অসম্পূর্ণ ও অচল। তবে যৌন আনন্দে বাউলেরা সৃষ্টিকে এড়িয়ে চলতে ভালবাসেন। সৃষ্টির রহস্য না জানার ফলে ‘‘অযোগ্য’’ সন্তান উৎপাদন করলে তা অন্ধ, বোবা, কালা,মূর্খ সন্তান সৃষ্টি হয়। বাউলেরা ‘‘সুযোগে’’ ইচ্ছেমত সন্তান জন্ম দেয় না। তাদের সৃষ্টির পূর্ব পরিকল্পনা জাত-পাতের কামের অন্ধ আবেগজাত নয়। বাউলদের কথায় আত্মসুখই ব্যাভিচার। তাদের আত্নন্দ্রিয় তৃপ্তির ইচ্ছে এবং অহং কেন্দ্রিক কামের ইচ্ছের বিরুদ্ধে বাউলেরা। আত্মসুখ বিসর্জন দিয়ে গোপী সখিরা কৃষ্ণের সুখেই সুখি। বাউলো সাধুসভায় দারুন মনোযোগী গান মানুষের সঙ্গে কথা বলে,দেহ মিলন প্রকৃতির প্রতি এ সমাজ অধিকতর মনোযোগী। তাদের মতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ বৃদ্ধিতে আপত্তি আছে। বাউলেরা নিজেদের শরীরকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে খাদ্য এবং নেশা জাতীয় পণ্য ব্যবহারের প্রতি সজাগ দৃষ্টিপাত রেখে চলে।

বাউলদের মতে যে খাদ্য মানুষের শরীরে সহ্য হয় না তা হারাম। আবার যে খাদ্য মানুষের শরীরে হিতকর তাই হালাল। দেহের উত্তেজক শক্তি বৃদ্ধি করে এমন খাদ্য বাউল সমাজে হারাম। গোমাংস খাদ্য বাউল সমাজে নিষিদ্ধ। এই মাংস হিন্দু এবং মুসলমান বাউল সমাজে নিষিদ্ধ হওয়াতে উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক গাঢ় হয়েছে। নিষেধ সত্ত্বেও গঞ্জিকার অপ্রতিহত প্রভাব বাউল সমাজে পড়েছে। সাধুদের অন্ন, তেল এবং তামাক, গাঁজা সেবা দেওয়া আবশ্যক। বাউলেরা মনে করেন, মদ বা তাড়ি খাওয়া বাউল সমাজের নৈতিক আপত্তি, এ নেশা মানুষকে উত্তেজিত এবং উশৃঙ্খল করে তোলে। কিন্তু গাঁজা বা আফিং এর নেশা মানুষকে আত্মমগ্ন করে। গাঁজা প্রাকৃতিক নেশা। যা থেকে গাঁজা, ভাঙ্ , গঞ্জিকা, চারস তৈরী হয়। তা কাঁচা, শুকনো, শেকড় ও ডাল দিয়ে তৈরী হয়। তারা মনে করেন সামাজিক উশৃঙ্খলা গাজা নেশা থেকে হয় না। গাজা বিঁষাক্ত নেশা দেহস্থ কামের বিঁষকে নিস্ক্রিয় করে মনকে উর্ধগামী করে দেয়। সন্তানের কামনা মানুষের সহজাত। কোন কামনাকে দমন করলে তা থেকে শারিরীক ও মানষিক বিকৃতি ঘটে। যাদের সন্তান কামনা আছে তারা ১-২ টি সন্তান জন্ম দিতে পারেন।

বাউলদের মতে জন্ম-জীবন সব সময় উপভোগ্যময়। যে জন্য কাম উত্তেজনাকে নিয়ন্ত্রণ করে ভোগ ক্রিয়াকে দীর্ঘ করে রাখাটা সমুচিন তাদের কাছে। এভাবে গানে গানে আত্ম উপলব্দিকে জাগ্রত করে রাখতে তাঁরা গানকে ধারণ করে মন কে আনন্দময় করে তোলেন। তবে তা সৃষ্টিকে আকড়ে নয়। মহামতি লালনের কথায় বলতে গেলে,

‘‘ আজব মানব দেহ ঘড়ি, চলতে চলতে চলে না
জীবন মানে জন্ম মৃত্যু, মাঝখানে কেউ থাকে না।’’

 

ঋণ স্বীকার: বাস্তুবাদী বাউল-শক্তিনাথ ঝা এবং মাসিক গণস্বাস্থ্য, ঢাকা, বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ সংখ্যা- বাংলা ১৩৯১ সংখ্যা।

লেখক : গবেষক, উদ্ভাবক ও পরিবেশ ব্যক্তিত্ব।

Add comment

ইতিহাস এর নতুন প্রবন্ধ

সর্বশেষ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

তথ্য সম্পর্কে খবর

আমাদের নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন এবং আপডেট থাকুন
আমরা কুকিজ ব্যবহার করি
আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে কুকিজ ব্যবহার করি। তাদের মধ্যে কিছু সাইট পরিচালনার জন্য অপরিহার্য, অন্যরা আমাদের এই সাইট এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করতে সাহায্য করে (কুকিজ ট্র্যাক করা)। আপনি কুকিজকে অনুমতি দিতে চান কিনা তা আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। দয়া করে মনে রাখবেন যে আপনি যদি সেগুলি প্রত্যাখ্যান করেন তবে আপনি সাইটের সমস্ত কার্যকারিতা ব্যবহার করতে পারবেন না।