আধুনিক সাংবাদিকতার পথিকৃৎ ওয়ালিউল বারী চৌধুরী
আধুনিক সাংবাদিকতার পথিকৃৎ ওয়ালিউল বারী চৌধুরী

WaliUl Bari Chowdhury the pioneer of modern journalism

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তাণ্চল থেকে প্রকাশিত সর্বপ্রথম পত্রিকা ‘স্বাধীন বাংলা’র সম্পাদক, বৃহত্তর কুষ্টিয়া অঞ্চল থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘ইস্পাত’ পত্রিকা ও স্বাধীনতা পূর্ব সাপ্তাহিক ‘মশাল’ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক সাংবাদিক আলহাজ্ব ওয়ালিউল বারী চৌধুরী।

ওয়ালিউল বারী চৌধুরীর সম্পাদনায় ১৯৭১ সালের ১৫ এপ্রিল নদীয়া জেলার রানাঘাট থেকে স্বাধীন বাংলা নামে মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রথম পাক্ষিক পত্রিকা বের করেছিলেন। এর আগে ১৯৬৪ সালের দিকে সাপ্তাহিক মশাল নামে আরেকটি পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক ছিলেন। স্বাধীনতা উত্তর পাক্ষিক সমীক্ষা পত্রিকার প্রকাশক ছিলেন ইস্পাত বাদে ১৯৭৫ সালে দেশের সকল পত্রিকার সাথে এগুলো বন্ধ হয়ে যায়। তবে সেসময় মাসিক ইস্পাত পত্রিকা চালু থাকে। যা খুলনা বিভাগের মধ্যে একমাত্র পত্রিকা ছিল। ১৯৭৫ সালের ১৭ নভেম্বর ইস্পাত পত্রিকা মাসিক থেকে সাপ্তাহিকভাবে বের হতে থাকে। যা এখনও অব্যহত রয়েছে। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত।

বংশগতভাবে যারা সাংবাদিকতার সাথে আছেন। যে পত্রিকার বদৌলতেই অনেকের সাংবাদিকতার হাতে খড়ি। যে পত্রিকার মাধ্যমেই বিভিন্ন সময়ে বেরিয়ে এসেছে অনেক প্রতিভাবান সাংবাদিক। তাঁরা জাতীয় ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় অনেক প্রতিভার অবদান রেখে চলেছে। আর ওই পত্রিকাটি হল কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত অনেক পুরাতন পত্রিকা তার নাম “সাপ্তাহিক ইস্পাত”। এ পত্রিকাটির যিনি সম্পাদক তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন কলম সৈনিক আলহাজ্ব ওয়ালিউল বারী চৌধুরী। তিনি কুষ্টিয়ার প্রবীণ ও নির্ভিক সাংবাদিক হিসাবে পরিচিত। এই পত্রিকাটি শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। এখনও নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে পত্রিকাটি।

তিনি ১৯৬৪ সালে সাপ্তাহিক মশাল পত্রিকার প্রকাশনার মাধ্যমে কুষ্টিয়ার সংবাদপত্র জগতে এক নতুন আলো সৃষ্টি করেন এবং কুষ্টিয়াকে নতুন রুপে তুলে ধরেন।

আধুনিক সাংবাদিকতার পথিকৃৎ ওয়ালিউল বারী চৌধুরী কুষ্টিয়ার প্রত্র-প্রত্রিকাকে বাংলাদেশ এবং ওপার বাংলার মধ্যে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। কুষ্টিয়ার সকল শ্রেনীর মানুষের কাছে একজন প্রিয় ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিত।

কুষ্টিয়া সম্পর্কিত তথ্য