আপনাকে কুষ্টিয়াশহর.কম এর পক্ষ হতে ঈদ মোবারক 🌙। বাংলা তথ্য ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে আমাদের এই প্রয়াস। ইতিহাস এবং ঐতিহ্যর তথ্য দিতে চাইলে ক্লিক করুন অথবা ফোন করুনঃ- ০১৯৭৮ ৩৩ ৪২ ৩৩

Select your language

 সুজাউদ্দিন আহমেদ মানুষ গড়ার শ্রেষ্ঠ কারিগর
সুজাউদ্দিন আহমেদ মানুষ গড়ার শ্রেষ্ঠ কারিগর

সুজাউদ্দিন আহমেদ (জন্মঃ ১৯১৬ ইং, মৃত্যুঃ ২২-০৯-১৯৯৩ইং) কুষ্টিয়া মহকুমার দৌলতপুর থানার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ডাং মড়কাগ্রামে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে ১৯১৬ সালে সুজা উদ্দিন সাহেব জন্ম গ্রহন করেন। পিতার নাম শিতল মোহাম্মদ, মাতা শান্তি খাতুন। তিনি পশ্চিম বঙ্গের শিকারপুর হাই স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করেন, ইন্টারমিড়িয়েট এবং গ্রেজুয়েশন লাভ করেন রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে।

১৯৩৮ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম,এ পাশ করেন। অর্থনৈতিক সংকটকের কারনে এম,এ,পড়া শুনার ব্যাঘাত ঘটে। তিনি কোন পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করবে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত হীনতায় ভুগছিলেন। তিনি সর্বপ্রথম (RAF)Royal Air Force এ যোগদান করেন। সেখান তাঁর ভাল না লাগার কারনে এক বছরের মাথায় ১৯৪২ সালে চাকুরি ইস্তফা দেন। জীবন জীবিকার তাগিদে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের অফিসে অস্থায়ী ভিত্ততে চাকুরি করেন। এলাকায় ফিরে আসার পর মথুরাপুর গ্রামের আমজনতা মথুরাপুর গ্রামে একটি স্কুল স্থাপনের বিষয়ে উৎসুক ছিলেন। অত্র এলাকার প্রথম গ্রেজুয়েট শরিয়তুল্লাহ বিশ্বাস শ্রদ্ধা ভাজন ব্যক্তিত্ব জনাব সুজা উদ্দিন আহমেদ কে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করার প্রস্তাব দেন। তিনি ১৯৪২ সালে প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন।

স্কুল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনেক বাধা বিপত্তি এলে তিনি নিজ যোগ্যতায় সেই সব বাধা কাটিয়ে উঠেন সেই সময় এই দেশ ছিল ব্রিটিশ শাসনের অধীনে এবং কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদন লাভ করে। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন রাধা বিনোদ পাল।

তিনি প্রশাসক হিসাবে ন্যায় নিষ্ঠাবান। তিনি শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানো এবং শিক্ষার্থীদের কখনো রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ুক এইটা পছন্দ করতেন না। তিনি ইংরেজি লেখকের বই পড়তে পছন্দ করতেন। যেমনঃ- ডিকেন্স, জর্জ, ইলিয়ট, জর্জ বার্নাডস এই ধরণের বই পড়তেন। খেলাধুলার ব্যাপার তিনি খুব উৎসাহি ছিলেন। তিনি এক নাগারে চল্লিশ বছর ১৯৪২সাল থেকে ১৯৮২ (৩১/১২/১৯৮২) সাল পর্যন্ত একই বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হিসাবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২২/০৯/১৯৯৩ সালে মুত্যু বরন করেন মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ (সাত্তার) বছর। তিনি দুই ছেলে ও তিন মেয়ে সহ অসংখ্য গুন গ্রাহী রেখে গেছেন। আল্লাহ তাঁকে বেহেস্ত নসিব করুন।

Add comment

কুষ্টিয়া সম্পর্কিত তথ্য

সর্বশেষ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

তথ্য সম্পর্কে খবর

আমাদের নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন এবং আপডেট থাকুন
We use cookies

We use cookies on our website. Some of them are essential for the operation of the site, while others help us to improve this site and the user experience (tracking cookies). You can decide for yourself whether you want to allow cookies or not. Please note that if you reject them, you may not be able to use all the functionalities of the site.