আপনাকে কুষ্টিয়াশহর.কম এর পক্ষ হতে প্রবিত্র রমজান মোবারক 🌙। বাংলা তথ্য ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে আমাদের এই প্রয়াস। ইতিহাস এবং ঐতিহ্যর তথ্য দিতে চাইলে ক্লিক করুন অথবা ফোন করুনঃ- ০১৯৭৮ ৩৩ ৪২ ৩৩

Select your language

পাকশী রিসোর্ট
পাকশী রিসোর্ট

পাকশী রিসোর্ট, হোটেল ভিয়েনার আদলে নির্মিত। হোটেল ভিয়েনা হয়েছিল ১৯৫৪ সালে, স্মিথ পরিবার দ্বারা কয়েক দশক ধরে এটি নিউইয়র্কে প্রতীকী হোটেলগুলির একটি। হোটেলটিতে ৬০,০০০ বর্গফুটেরও বেশি অন্দর এবং খোলা আকাশের নিচে ইভেন্টের ব্যবস্থা রয়েছে।

রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, আমাদের লক্ষ্য যতটা সম্ভব আরামদায়ক এবং সুবিধাজনক থাকার ব্যবস্থা করা। আপনি যদি প্রথমবার নিউইয়র্ক সিটিতে আসেন বা এলাকার নিয়মিত ব্যবসায় ভ্রমণকারী হন তবে আপনি আমাদের নিউইয়র্ক বুটিক হোটেলের সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজনীয় সবকিছু সরবরাহ করবে।

পাকশী রিসোর্ট পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় পদ্মা নদীর পাশে অবস্থিত। কুষ্টিয়া থেকে মাত্র আধা ঘণ্টার পথ। এ রিসোর্টে পর্যটকদের জন্য রয়েছে তিনতলা বিশিষ্ট দুটি ভবন। বিদেশি স্থাপত্য কাঠামোয় গড়ে ওঠা এ রিসোর্ট এ গেলে মনে হবে উন্নত বিশ্বের কোনো মনোমুগ্ধকর রিসোর্টে আছেন আপনি। বিশাল পাকশী রিসোর্টে পাবেন সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। এর প্রতিটি কক্ষই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। সবকিছুতেই অত্যন্ত পরিপাটি, সাজানো-গোছানো। ভেতরের আসবাবপত্র রুচিশীল, মূল্যবান এবং আভিজাত্য। যে কোনো পাঁচতারা হোটেলের সমমানের। বিশাল ডাইনিং হল। বসার জায়গা, বুফে এবং বারবিকিউয়ের ব্যবস্থা। বৃহৎ এলাকা নিয়ে ছোট্ট একটি নিরিবিলি কুটির। কিন্তু প্রতিটিতে সকালের সূর্য আলো দিয়ে পরশ বুলিয়ে দেবে আপনার চোখেমুখে। পাবেন আধুনিকতার সব ছোঁয়া। দখিনা হাওয়া ও শিশিরভেজা রিসোর্টের নিরিবিলি মনোরম পরিবেশ আপনাকে সতেজ করবে। ডবল বেডরুম, অ্যাটাচড বাথ আর আছে ব্যালকনি। অবশ্যই সুন্দর সময় কাটবে পুরো রিসোর্টের মনোলোভা স্থানগুলো।

পাকশী রিসোর্ট Pakshi Resort এর ভেতরে খেলতে পারেন নিজের মতো করে। আছে লন টেনিস, বাস্কেট বল, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, বিলিয়ার্ড, ক্যারম ও দাবাসহ আরও নানা ধরনের ইনডোর গেমস। হাঁটতে পারেন ফুলবাগান বা লেকের ধারে। সাঁতার কাটতে পারেন সুইমিং পুলের স্বচ্ছ পানিতে। ইচ্ছে করলে বসতে পারেন লেকের ধারে। হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত হলে বসতে পারেন শান্ত বটের ছায়ায়। ছোট ছোট পাহাড়ে উঠতে পারেন প্রিয়জনের হাত ধরে। মন চাইলে কুঁড়েঘরে বিশ্রামও নিতে পারেন। রিসোর্টে আছে দেশি-বিদেশি প্রায় ৪ শতাধিক নানা প্রজাতির গাছ ও ফলের বাগান। উদ্যানে আছে অসংখ্য অর্কিড। আর যাই হোক, নিরাপত্তা পাবেন ষোলআনা। রিসোর্টের কাছেই পদ্মা নদী। মাত্র ১০ মিনিটের পথ। বিকেলে ঘুরতে পারেন পদ্মা নদীর ধারে। নৌকায় ভাসতেও পারেন। ইচ্ছে হলে বড়শি দিয়ে মাছও ধরতে পারেন।

অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন যারা, আয়োজন করতে পারেন ক্যাম্প ফায়ারের এবং থাকতে পারেন তাঁবুতে। এখানে আছে একটি মিনি চিড়িয়াখানা। যেখানে দেখতে পাবেন চিত্রা হরিণ, বানর ও কালিম পাখি।

পাকশীই ছিল সাড়াঘাট থেকে নদীপথে কলকাতা যাওয়ার একমাত্র পথ, সেই সুবাদে এখানে গড়ে উঠেছে রেলওয়ে বিভাগীয় শহর। ঈশ্বরদী Ishwardi বাণিজ্যের স্থান। এখানে রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ রেলওয়ে জংশন, এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। দেখার মতো ঐতিহাসিক স্থান এটি। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের কোলঘেঁষে লালন সেতু। এখানে দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্ধারিত স্থান। রয়েছে ঈশ্বরদী ইপিজেড, নর্থবেঙ্গল পেপার মিল, ডাল ও আখ গবেষণা কেন্দ্র। আছে ফুরফুরা দরবার শরিফ। পাশেই পাবনা শহর মাত্র ৪৫-৫৫ মিনিটের পথ। যেখানে দেখতে পাবেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি নায়িকা সুচিত্রা সেনের বাড়ি, কোর্ট বিল্ডিং, শ্রীশ্রী অনুকূল ঠাকুরের আশ্রম, জোড়বাংলা, মানসিক হাসপাতাল, রায়বাহাদুরের গেট, পাবনা এডওয়ার্ড কলেজসহ অনেক পুরনো কীর্তি। আপনি জেনে খুশি হবেন, তৎকালীন উপমহাদেশে কোর্ট বিল্ডিংটি পটিনায় হওয়ার কথা থাকলেও পটিনার টি অক্ষরটির মাথা কাটা না থাকায় ভুলবশত তা পাবনা হয়। পাকশী রিসোর্ট থেকে লালন শাহের মাজারে যাওয়া যায় ১ঃ১৫ ঘন্টায়। ইচ্ছে করলে এখান থেকে শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়িতে সড়ক বা নদীপথেও যেতে পারেন। ঘুরে আসতে পারেন সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা থেকে। মুক্তিযুদ্ধকালীন দেশের প্রথম স্বাধীন রাজধানী সেই মুজিবনগরেও যেতে পারেন। যেতে পারেন বনলতা সেন খ্যাত নাটোরের রাজবাড়িসহ পুঠিয়া রাজবাড়িতেও। এসব দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনের সব ব্যবস্থা করা হয় এ রিসোর্ট থেকেই।

খাবার ব্যবস্থাঃ-

পাকশী রিসোর্টে আছে ষড়ঋতু নামের একটি আধুনিক রেস্টুরেন্ট। এ রেস্টুরেন্টে ঘরোয়া পরিবেশে পরিবেশন করা হয় নদীর টাটকা মাছ। রিসোর্টের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশি, ইন্ডিয়ান, চায়নিজ, থাই কিংবা অন্যান্য বিদেশি খাবারের সুব্যবস্থা রয়েছে। পাবেন দেশি-বিদেশি ফলের নানা ধরনের জুস, বেকারি ও প্যাস্ট্রি শপ।

কুষ্টিয়া হতে কিভাবে যাবেনঃ-

কুষ্টিয়া মজমপুর বাস স্ট্যান্ড হতে মাত্র আধা ঘন্টা সময় লাগে। বাস, টেম্পু এবং সিএনজির মাধ্যমে অনায়াসে যেতে পারবেন ভাড়া ৩০/৪০ টাকা। এছাড়া ট্রেনেও যেতে পারেন কুষ্টিয়া কোর্ট ষ্টেশন অথবা পোড়াদহ রেল ষ্টেশন হতে খুব সহজেই যাওয়া যায়।

পাকশী রিসোর্টে যোগাযোগঃ-

পাকশী রিসোর্ট, খানকা শরীফ রোড, ঈশ্বরদী উপজেলা, পাবনা-৬৬০০

মোবাইলঃ- +880 1730 706 258, +880 1730 706 251

ইমেইলঃ- This email address is being protected from spambots. You need JavaScript enabled to view it., This email address is being protected from spambots. You need JavaScript enabled to view it., This email address is being protected from spambots. You need JavaScript enabled to view it.

ওয়েব সাইটঃ- pakshiresort.com

Add comment

সংস্কৃতি এর নতুন প্রবন্ধ

সর্বশেষ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

তথ্য সম্পর্কে খবর

আমাদের নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন এবং আপডেট থাকুন
We use cookies

We use cookies on our website. Some of them are essential for the operation of the site, while others help us to improve this site and the user experience (tracking cookies). You can decide for yourself whether you want to allow cookies or not. Please note that if you reject them, you may not be able to use all the functionalities of the site.