Select your language

বৃহত্তর বাংলার ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের তথ্য পরিবেশক।

একটি সংগ্রামী জীবনের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস - আব্দুর রউফ চৌধুরী
একটি সংগ্রামী জীবনের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস - আব্দুর রউফ চৌধুরী

জনাব আব্দুর রউফ চৌধুরী ১৯৪৫ সালে ঐতিহাসিক রশীদ আলী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহনের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। তখন তিনি ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র। বৃটিশ বিরোধী সাধীনতা সংগ্রামে তথা পাকিস্তান আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করেন।

মুসলিম ছাত্রলীগের সেচ্ছাসেবক বাহিনীর অন্যতম সক্রিয় সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলা শাখা ছাত্রলীগের অন্যতম নেতা হিসেবে তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহন করেন। ১৯৫৭ - ৫৮ সালে কুষ্টিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের ভি,পি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৬২ সালে তিনি ঢাকা বিশবিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হন এবং গনবিরোধী শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে সক্রিয় ও দেশব্যাপী উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করেন।

১৯৬৩ সালে তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির "গঠনতন্ত্র ও কর্মসূচী প্রনয়ন " সাব-কমটির আহবায়ক নির্বাচিত হন এবং কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে তার পেশকৃত "গঠনতন্ত্র ও কর্মসূচি " সম্মেলনে সারারাত ধরে প্রানবন্ত আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। আইয়ুবি সৈরশাসনের বিরুদ্ধে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্ব ৯ নেতার সমন্বয় গঠিত এনডি এফ এর গনতান্ত্রিক আন্দোলন সংগঠিত করার ব্যাপারে জনাব চৌধুরী কুষ্টিয়া জেলার উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করেন।

১৯৬৩ সালে রাজশাহী বিশবিদ্যালয় সমাবর্তন উৎসবে কুখ্যাত গভর্নর ও চ্যান্সেলর মোনায়েম খানের উপস্থিতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন এবং গ্রেফতার হন। ছাত্রদের প্রবল চাপে এবং কৌশলের দারা তিনি পুলিশের কবল থেকে উদ্ধার পান। কিন্তু তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন হুলিয়া জারি থাকে।

১৯৬৬ সালে তিনি কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। সেবছর সর্ব দলীয় ঐতিহাসিক উদ্দোগে মে'দিবস পালন উপলক্ষ্যে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের দায়ে প্রধান আসামী হওয়া সত্তেও শ্রমিক -জনতার চাপের মুখে পুলিশ তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

১৯৭১ সালে যুদ্ধকালীন সময়ে বেতাই ক্যাম্পে চিন্তামগ্ন বা থেকে সর্ব জনাব আব্দুর রউফ চৌধুরী এমপিএ জনাব আজিজুর রহমান আক্কাস এমএনএ জনাব ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল-ইসলাম এমএনএ এবং জনাব গোলাম কিবরিয়া এমপিএ

১৯৭১ সালে যুদ্ধকালীন সময়ে বেতাই ক্যাম্পে চিন্তামগ্ন বা থেকে সর্ব জনাব আব্দুর রউফ চৌধুরী এমপিএ জনাব আজিজুর রহমান আক্কাস এমএনএ জনাব ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল-ইসলাম এমএনএ এবং জনাব গোলাম কিবরিয়া এমপিএ

১৯৭১ সালে ভারতের করিমপুরে মুক্তিযোদ্ধাগনের সম্মুখে বক্তৃতারত জনাব আব্দুর রউফ চৌধুরী এপিএ

১৯৭১ সালে ভারতের করিমপুরে মুক্তিযোদ্ধাগনের সম্মুখে বক্তৃতারত জনাব আব্দুর রউফ চৌধুরী এপিএ

১৯৬৫ সালে আইয়ুবের বিরুদ্ধে D.A.C এর মনোনীত প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মিস ফাতেমা জিন্নাহর সফরসঙ্গী ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি খুলনা ও রাজশাহী বিভাগ সফর করেন। পাকিস্তানের তদানীন্তন সৈরাচারী সরকার বিরোধী ঐক্যজোট P.D.M এর সংগঠনেও তিনি উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করেন। তদানীন্তন পুর্ব পাকিস্তান P.D.M নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে পুর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জাতীয় নেতৃবৃন্দের ঘনিষ্ঠ সহচার্য্য লাভের সুযোগের মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করেন। ১৯৬৭ সালে রাজবন্দী মুক্তি দিবস পালনে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের দায়ে সেফটি এক্টে এবং তথাকথিত দেশদ্রোহিতার অভিযোগে তিনি কারাবরন করেন এবং পরবর্তিতে হাই কোর্ট থেকে মুক্তি পান।

১৯৬৯ এর ঐতিহাসিক গনঅভ্যুত্থানে তিনি সক্রিয় এবং উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তদানীন্তন পুর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ( এম পি এ।) নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের ৩১শে মার্চ হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। মুক্তিযুদ্ধে বি ডি আর ( তদানীন্তন ই পি আর) পুলিশ, আনসার এবং মুক্তিপাগল জনতাকে সংগঠিত করে তিনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পরকল্পনা প্রনয়ন, ভারতীয় বর্ডার হতে ইপি আর দের অস্ত্রসহ কুষ্টিয়া নিয়ে এসে সমন্বয় করেন। হানাদার বাহিনীর বড় ঘাটি পুলিশ লাইন ও জিলা স্কুল আক্রমণ এবং থানা ও টি এন্ড টি ভবনে যুদ্ধ পরিচালনা করেন। কুষ্টিয়ায় তার বাসভবনকে মুক্তিযুদ্ধের দুর্গ হিসেবে ব্যবহার করে হানাদার বাহিনীর অন্যতম অবস্থান কুষ্টিয়া থানা ও টি এন্ড টি ভবনে হামলা পরিচালনা করেন। এ কারনে পরবর্তিকালে হানাদার বাহিনী তার বসতবাড়ি আক্রমন করে ধংস করে দেয়।

পরবর্তিতে জনাব আব্দুর রউফ মুজিবনগর সরকারের দক্ষিন - পশ্চিম জোনাল কাউন্সিলের ( বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও পাবনা জেলার সমন্বয় এ গঠিত) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ঐ সময় এম এন এ ও এম পি দের সমনয়ে এম সি এ ( Member of constitutional assembly) তে পরিগনিত হয়।

বাংলাদেশের সাধীনতা লাভের পর এম,সি,এ হিসাবে দেশের সংবিধান রচনায় সক্রিয় ভুমিকা পালন করেন। তাকে সে সময় কুষ্টিয়ার ত্রান ও পুনর্বাসন কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়। এবং তিনি কৃতিত্তের সাথে তার উপর অর্পিত দায়িত্তে পালিন করেন।

এরপর তিনি কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে পুনরায় জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে এপ্রিল মাসে পার্লামেন্টারি ডেলিগেশনে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ সফর করেন। পরবর্তিতে সিঙাপুর, কুয়ালালামপুর, এবং ব্যাংকক সফর করেন।

১৯৭৬ সালে ডেমোক্রেটিক লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং পরবর্তিকালে কাউন্সিল অধিবেশনে জাতীয় কমিটির সহ- সভাপতি নির্বাচিত হন।

১৯৮২ সালের পর থেকে ডেমোক্রেটিক লীগের একাংশের সভাপতি হিসেবে সৈরাচার বিরোধী ঐতিহাসিক ৫ দফা আন্দোলনে ৭ দলীয় ঐক্যজোটের অন্যতম নেতা হিসেবে সক্রিয় ভুমিকা পালন করেন। ২২ দলের লিয়োজো কমিটির সদস্য হিসেবেও তিনি উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করেন।

সৈরাচার পতনের পর সংসদীয় গনতান্ত্রিক পদ্ধতি গ্রহন, গনতান্ত্রিকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপদান এবং জাতীয়তাবাদী গনতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তিনি তার নেতৃত্তাধীন ডেমোক্রেটিক লীগ বিলুপ্ত করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাথে একীভূত হন। ১৯৯১ এর ২৭ শে ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে বি এন পি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদন্দিতা কিরে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব স্ট্যাডিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং সরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্ট্যাডিং কমিটির ও বিভিন বাছাই কমিটির সদস্য হন। বর্নাঢ্য জীবনের অধিকারি জনাব আব্দুর রউফ চৌধুরী রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ডেও সমান পদচারণা অব্যাহত রেখেছেন। নিজ এলাকায় ছত্রগাছা প্রাইমারী স্কুল, হাই স্কুল এবং হালসা হাই স্কুল ও আমলা কলেজ সহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেন এবং জড়িত আছেন। অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন পদে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন এবং করছেন

জেলার ক্রীড়া সংস্থা, পাবলিক লাইব্রেরী, শিল্পকলা একাডেমী, এবং অন্যান্য সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও কর্মকান্ডের সাথে তিনি সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছেন। কুষ্টিয়া জেলা রেডক্রস এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবনে :-
স্ত্রী এডভোকেট : নার্গিস চৌধুরী আইনজীবী ও সমাজ সেবিকা।
পুত্র ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, সুপ্রিমকোর্ট এ আইন পেশায় রত।
কন্যা আলমা চৌধুরী, ইংরেজি (সম্মান) কৃতিত্তের সাথে পাশ করে মেলবর্নের মানাশ বিশবিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।
কনিষ্ঠ পুত্র সারেক রউফ চৌধুরী, স্থপতি বিষয়ে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।

Add comment

প্রবন্ধ - সর্বশেষ

মসজিদে নামাজ এবং আধ্যাত্মিক প্রার্থনারত অবস্থায়
মসজিদে নামাজ এবং আধ্যাত্মিক প্রার্থনারত অবস্থায়

২০২৫ রমজানের আধ্যাত্মিক ও সামাজিক গুরুত্ব

রমজান ইসলামী ক্যালেন্ডারের নবম মাস এবং এটি মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র একটি সময়। ২০২৫ সালের রমজানের গুরুত্ব নিম্নলিখিত দিকগুলো থেকে বিবেচনা করা যেতে পারে:

ফকির লালন শাঁইজীর আঁখরা বাড়ি
ফকির লালন শাঁইজীর আঁখরা বাড়ি

লালন স্মরণোৎসব ২০২৫

ফকির লালন শাঁইজী তাঁর জীবদ্দশায় ফাল্গুন মাসের দোল পূর্ণিমার রাতে খোলা মাঠে শিষ্যদের নিয়ে সারারাত ধরে গান বাজনা করতেন। সেই ধারাবাহিকতায় এখনো লালন একাডেমী প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের দোল পূর্ণিমার রাতে তিনদিন ব্যাপী লালন স্মরণোৎসব এর আয়োজন করে থাকে।

বাউল সম্রাট ফকির লালন শাঁইজীর ১৩৪তম তিরোধান দিবস ২০২৪
বাউল সম্রাট ফকির লালন শাঁইজীর ১৩৪তম তিরোধান দিবস ২০২৪

বাউল সম্রাট ফকির লালন শাঁইজীর ১৩৪তম তিরোধান দিবস ২০২৪

১লা কার্ত্তিক ১২৯৭ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ১৭ অক্টোবর ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দে মারা যান এবং তিনি বেঁচে ছিলেন ১১৬ বছর।

খালেদ সাইফুদ্দীন - বীর বিক্রম
খালেদ সাইফুদ্দীন - বীর বিক্রম

খালেদ সাইফুদ্দীন - বীর বিক্রম

শহীদ খালেদ সাইফুদ্দীন (জন্ম: অজানা - মৃত্যু: ১৯৭১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম খেতাব প্রদান করে।

কুষ্টিয়ার কৃতীঃ আগা ইউসুফ
কুষ্টিয়ার কৃতীঃ আগা ইউসুফ

কুষ্টিয়ার কৃতীঃ আগা ইউসুফ

আগা ইউসুফ (জন্মঃ- ১৯২৪ সালের ২৩শে এপ্রিল - মৃত্যুঃ- ২০০৩ সালের ৩০শে এপ্রিল):- ১৯৬০'এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রায় দুই দশকের মধ্যে তিনি তামাক ও তামাকজাত পণ্য থেকে শুরু করে কৃষি, ব্যাংকিং, স্বাস্থ্যসেবা, ঔষধ শিল্প, ইঞ্জিনিয়ারিং, হিমাগার, পাটশিল্প, টেক্সটাইল, টিম্বার ও প্রকাশনার মতো অন্তত ২০টির মতো শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে চমক লাগিয়ে দেন।

লালন স্মরণোৎসব  ২০২৪
লালন স্মরণোৎসব ২০২৪

লালন স্মরণোৎসব ২০২৪

ফকির লালন শাঁইজী তাঁর জীবদ্দশায় ফাল্গুন মাসের দোল পূর্ণিমার রাতে খোলা মাঠে শিষ্যদের নিয়ে সারারাত ধরে গান বাজনা করতেন। সেই ধারাবাহিকতায় এখনো লালন একাডেমীর প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের দোল পূর্ণিমার রাতে তিনদিন ব্যাপী লালন স্মরণোৎসব এর আয়োজন করে থাকে কিন্তু প্রবিত্র মাহে রমজানের কারণে এবার সবকিছু শিথিল করেছেন প্রশাসন।

আমাদের ইতিহাস

ফকির লালন শাঁইজীর আঁখরা বাড়ি
ফকির লালন শাঁইজীর আঁখরা বাড়ি

লালন স্মরণোৎসব ২০২৫

ফকির লালন শাঁইজী তাঁর জীবদ্দশায় ফাল্গুন মাসের দোল পূর্ণিমার রাতে খোলা মাঠে শিষ্যদের নিয়ে সারারাত ধরে গান বাজনা করতেন। সেই ধারাবাহিকতায় এখনো লালন একাডেমী প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের দোল পূর্ণিমার রাতে তিনদিন ব্যাপী লালন স্মরণোৎসব এর আয়োজন করে থাকে।

বাউল সম্রাট ফকির লালন শাঁইজীর ১৩৪তম তিরোধান দিবস ২০২৪
বাউল সম্রাট ফকির লালন শাঁইজীর ১৩৪তম তিরোধান দিবস ২০২৪

বাউল সম্রাট ফকির লালন শাঁইজীর ১৩৪তম তিরোধান দিবস ২০২৪

১লা কার্ত্তিক ১২৯৭ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ১৭ অক্টোবর ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দে মারা যান এবং তিনি বেঁচে ছিলেন ১১৬ বছর।

খালেদ সাইফুদ্দীন - বীর বিক্রম
খালেদ সাইফুদ্দীন - বীর বিক্রম

খালেদ সাইফুদ্দীন - বীর বিক্রম

শহীদ খালেদ সাইফুদ্দীন (জন্ম: অজানা - মৃত্যু: ১৯৭১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম খেতাব প্রদান করে।

আমাদের সংস্কৃতি

তাজমহল বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্য
তাজমহল বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্য

তাজমহল বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্য

দিনের বেলা হোক বা পূর্ণিমার রাত একেক সময় তাজমহলের সৌন্দর্য্য একেক রকম। আগ্রার এই প্রাচীন স্মৃতিসৌধের নির্মাতা মুঘল সম্রাট শাহজাহান স্বয়ং। তাঁর নির্দেশেই প্রয়াত স্ত্রী মুমতাজের স্মৃতিতে এই সৌধ নির্মিত হয়। কেউ বলেন স্ত্রীর প্রতি সম্রাটের ভালোবাসার নিদর্শন এই মহল। কারও মতে অত্যাচারিত স্ত্রীর মৃত্যুর পর অনুশোচনার জেরে এই মহল নির্মাণ করেন সম্রাট। এসব নিয়ে নানা মুনির নানা মত। শ্বেত পাথরের তৈরি এই স্মৃতি সৌধের আনাচ কানাচে লুকিয়ে রয়েছে নানা তথ্য, নানা রহস্য, নানা অজানা ইতিহাসের কথা।

দীনবন্ধু মিত্র - Dinabandhu Mitra
দীনবন্ধু মিত্র - Dinabandhu Mitra

দীনবন্ধু মিত্র - Dinabandhu Mitra

দীনবন্ধু মিত্র - পিতৃদত্ত নাম গন্ধর্ব নারায়ণ মিত্র (১০এপ্রিল ১৮৩০ – ১ নভেম্বর ১৮৭৩) ঊনবিংশ শতাব্দীর বাংলা নাটকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রূপকার। বাংলার আধুনিক নাট্যধারার প্রবর্তক মাইকেল মধুসূদন দত্তের সমসাময়িক দীনবন্ধু মিত্র অবশ্য মাইকেল প্রবর্তিত পৌরাণিক বা ঐতিহাসিক নাট্যরচনার পথে না গিয়ে বাস্তবধর্মী সামাজিক নাট্যরচনায় মনোনিবেশ করেন। এই ধারায় তিনিই হয়ে ওঠেন পরবর্তীকালের নাট্যকারদের আদর্শস্থানীয়।

লোকসঙ্গীতে দেওয়ান পরিবার
লোকসঙ্গীতে দেওয়ান পরিবার

লোকসঙ্গীতে দেওয়ান পরিবার

বাংলাদেশের লোকগীতি ও বাউল সঙ্গীতের জগতে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো দু’টি নাম মালেক দেওয়ানখালেক দেওয়ান। এদেশের লোকসঙ্গীতের অন্যতম প্রতিভাধর শিল্পী ও সুর স্রষ্টা দেওয়ান আলেফ চাঁন শাহ ওরফে আলফু দেওয়ানের সুযোগ্য পুত্র দেওয়ান আবদুল মালেক ও দেওয়ান আবদুল খালেক। এই দেওয়ান পরিবারের অনেকেই এখন রেডিও-টিভির নিয়মিত শিল্পী।

প্রযুক্তি

সেরা অফলাইন মেসেজিং অ্যাপ - Best offline messaging app

সেরা অফলাইন মেসেজিং অ্যাপ - Best offline messaging app

অফলাইন মেসেজিংয়ের জন্য সেরা অ্যাপগুলি অন্বেষণ করুন৷ এমনকি উৎসব, বিদ্যুৎ বিভ্রাট বা ডাটা জরুরী পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস ছাড়াই সংযুক্ত থাকুন।

মোবাইল ডাটা সংরক্ষণের ৩টি টিপস - 3 tips & tricks to save mobile data

মোবাইল ডাটা সংরক্ষণের ৩টি টিপস - 3 tips & tricks to save mobile data

কিভাবে মোবাইল ডাটা ব্যবহার কমানো যায়। আপনার ডাটা ব্যবহার বোঝা এবং মোবাইল ডাটা সংরক্ষণ করার জন্য একটি নির্দেশিকা৷

ডাকঘর এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
ডাকঘর এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

ডাকঘর এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

ডাকঘর ১৬৬০ সালের দিকে ফিরে আসে যখন এটি দ্বিতীয় চার্লস দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সাধারণ ডাকঘর (জিপিও) ছদ্মবেশে, এটি শীঘ্রই সপ্তদশ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডের অবকাঠামোর মধ্যে অবিচ্ছেদ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা হিসাবে বেড়ে ওঠে।

জীবনযাপন

মাবরুম খেজুর (Mabroom Dates)
মাবরুম খেজুর (Mabroom Dates)

মাবরুম খেজুর (Mabroom Dates)

মাবরুমের খেজুরগুলি এক ধরণের নরম শুকনো জাতের (আজওয়া খেজুরের মতই)। যা মূলত পশ্চিম উপদ্বীপে সৌদি আরবে জন্মায়। মাবরুম গাঢ় বাদামী রঙের সাথে দীর্ঘ আকারের হয়। হালকা মিষ্টি এবং চিবাতে মাংসের মতো লাগে।

আনবার খেজুর
আনবার খেজুর

আনবার খেজুর (Anbara Dates)

আনবার খেজুরগুলি মদীনা খেজুরগুলির মধ্যে অন্যতম সেরা। আনবারা হ'ল সৌদি আরবের নরম ও মাংসল শুকনো জাতের খেজুর ফল। এটি মদিনায় চাষ হয় এবং এটি মদিনার খেজুরগুলির মধ্যে বৃহত্তম হওয়ায় এটি আকারের জন্য সুপরিচিত।

আজওয়া খেজুর
আজওয়া খেজুর

আজওয়া খেজুর (Ajwa Dates)

পৃথিবীতে অনেক জাতের খেজুর পাওয়া যায়। তাঁর মধ্যে আজওয়া খেজুর অন্যতম। তামার বা খেজুর শব্দটি আল কোরআন ও রাসূলের বাণীতে অনেক সময় এসেছে। রমজান মাসে ইফতারের তালিকায় খেজুরের পাশাপাশি সারা বছর পরিবারের সবার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় খেজুর রাখুন, সুস্থ জীবন-যাপন সহজ হবে। শিশুদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী।

বাউল গান

আমাদের নতুন সদস্য

সর্বশেষ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

তথ্য সম্পর্কে খবর

আমাদের নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন এবং আপডেট থাকুন
আমরা কুকিজ ব্যবহার করি
আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে কুকিজ ব্যবহার করি। তাদের মধ্যে কিছু সাইট পরিচালনার জন্য অপরিহার্য, অন্যরা আমাদের এই সাইট এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করতে সাহায্য করে (কুকিজ ট্র্যাক করা)। আপনি কুকিজকে অনুমতি দিতে চান কিনা তা আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। দয়া করে মনে রাখবেন যে আপনি যদি সেগুলি প্রত্যাখ্যান করেন তবে আপনি সাইটের সমস্ত কার্যকারিতা ব্যবহার করতে পারবেন না।