পদ্মা ও সাড়াঘাটের ইতিকথা - হাসান আহমেদ চিশতী
পদ্মা ও সাড়াঘাটের ইতিকথা - হাসান আহমেদ চিশতী

পদ্মার ভরা যৌবনের সোনালি দিনগুলো আজ অবারিত কান্নার করুণ সুরের কাঁপন দিয়ে ইতিহাসের পাণ্ডুলিপিতেই রয়ে গেল। অথচ একদিন প্ৰাচুৰ্য্য আর ঐতিহ্য নিয়ে নদীর অদূরেই বিপুল জনবসতির কোলাহল ঢলে পড়তো নলিনি কিংবা কালিজি কোলে। বৃক্ষশোভিত সবুজ আভায় নদীর জল গড়িয়ে যেত অসাম্প্রদায়িক চেতনা সৌহার্দ্যের অমোঘ স্পন্দনে।

জেলে, হালদারদের ভেজা জাল গাছের ডালে ঝুলিয়ে রোদ্দুরে শুকোতে দেয়া, পাখিরা চুনো মাছ ঠোটে করে উড়ে যাওয়ার দৃশ্য, সবল ধানের ক্ষেত আর উঁচু-নিচু কাশবনের উপরে বাতাসের দোল যেন পূর্বাঞ্চলের এক অপূর্ব মায়াবী চিত্র। পদ্মাপাড়ের জনজীবন আর বনেদি বসতির যে বাহার ছিল অবিভক্ত বাংলায়, তার অস্তিত্ব আজ কালের গর্ভে অনেকটাই বিলীন হয়েছে। প্রমত্তা পদ্মার পাললিক ধারা, পল্লীবালার মায়াবী আঁচল, চোখের কাজল, বুকের কষ্ট কাঁটায় ধূ-ধূ বালুচরের মায়া-মরীচিকায় যেন পতনের প্লাবন।

আবু ইসহাকের লেখা ‘পদ্মার পলিদ্বীপ’ অসম্ভব বৈচিত্রময়তায় আর ভাবদর্শনের চিত্রময় লিখন। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে পদ্মাপাড়ের লোকজীবনএর নিবিড় বন্ধনসমগ্র একান্ত গাঁথা তার আপন অনুভূতির প্রগাঢ় ভাবধারায় নিপুণ রচনাশৈলীতে প্রাণান্তকর প্রকাশ ঘটিয়েছেন। উজান-ভাটির আমোঘ টান, ছিন্নমূল বানভাসি মানুষ, লােকায়ত ভালোবাসা নিঃসৃত আবেগ মন্থনে সৃষ্টি হতে পারে ডকুমেন্টারি চলচ্চিত্র আকারে কীর্তিনাশা পদ্মার স্বপ্নপুরাণ । যেখানে অবিভক্ত বাংলার অজস্র স্মৃতির ঐশ্বর্য সময়ের অনন্য স্রোতে আজও ভাসমান। সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামল রূপসী বাংলার এই নদীমাতৃক পূর্বাঞ্চল জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে স্নিগ্ধতার কল্যাণে ভরপুর। পদ্মার জলস্রোতের মতো কালের যাত্রায় বহু গুণীজনের সমাহার ঘটেছে এ অঞ্চলকে কেন্দ্র করে। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে ৭ মে ঈশ্বরদী উপজেলার পদ্মবিধৌত প্রত্যন্ত অঞ্চল লক্ষ্মীকুণ্ডা গ্রামে সাহিত্যিক মুজিবুর রহমান বিশ্বাস ভবঘুরে’র জন্ম হয়। যিনি বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য। এরই সংলগ্ন গ্রাম পাকুড়িয়ার প্রাচীন স্থাপনা স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক বাবু শচীন্দ্রনাথ সাহা এবং কবি শঙ্খাঘোষের বাবা পাকশীর চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক, যিনি পশ্চিমবাংলায় তৎকালে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মর্যাদা লাভ করেছিলেন শ্রী মণীন্দ্র কুমার ঘোষ । এদের দেশপ্রেম ও সংস্কৃতি আর সাম্যবাদের যে উপাসনা ছিল প্রতি পদে পদে, তারা শিক্ষাগুরু হিসেবে নিজ অন্তরকে যেভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন সেটা মৃত্যুর আগমূহুর্তেও মুছে যাবার নয়। শিক্ষিত ও সুস্থ সমাজ নির্মাণের প্রজ্ঞা তৈরি করেছিলেন তারা বুকের গভীরে । জীবনের কাল ও মহাকালের পথপরিক্রমায় যে সকল গুণী মানুষের জন্ম হয়েছে এই পদ্মার পাললিক ধারায় তার কিঞ্চিৎ বর্ণনার বিস্তৃতি ও ব্যাপকতার সাক্ষী হয়ে দাঁড়াবে। সে কথা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনাতেও পাওয়া যাবে। কারণ এই প্রমত্তা পদ্মার বুকে বহুকাল তার রূপকল্প সানার তরীখা চিল ভাসমান । আজও তার আবেদনের আবাহন বুকের কোঠরে বাঁধনের সুরে রেখে যায় নিমগ্ন গানের কলতান। তারই রাজসাক্ষীর প্রবল প্রতাপ খুঁজে নিতে হলে সাড়া রাটের ইতিকথায় ফিরে যেতে হয়। কারণ সাড়া ঘাটই ছিল রাজন্যবর্গের সাঁড়াবন্দর।

কীর্তিনাশা পদ্মার কুল বয়ে গায়ক বাদক নর্তক ছিল প্রকৃতির ও প্ররিত বাতাসের দোলে। চারিদিক মুখরিত পাখির কলতান, নদীর কুলকুল ধ্বনি, পাতার মর্মর শব্দ, শ্যামল শস্যের ভঙ্গিময় দোলাচল। পদ্মার ঘাটে ঘাটে আলো-বাতাস, ছোট-ছোট জনপদ, লোক-জীবন, পরতে পরতে লোকজ সাহিত্যের উপাদান-উপকরণ ছড়িয়ে থাকা মায়াবী সম্পদের মতো বিস্মৃতির অতল গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। শ্রদ্ধেয় ডক্টর শ্রীযুক্ত দীনেশচন্দ্র সেন ময়মনসিংহ গীতিকা সংগ্রহ করে দেখিয়েছেন কি এক সাহিত্যের অমূল্য খনি পল্লীজননীর বুকের কোণে লুকায়িত। তেমনি পদ্মার পাজর ঘেঁষে সাঁড়া ঘাটের আত্মকথন ও তার আপন সত্তার প্রচণ্ডতায় বিমূর্ত এক ইতিহাস। আজ আধুনিক সভ্যতা গোগ্রাসে গিলে ফেলছে আমাদের সমস্ত ঐতিহ্য প্রত্নতত্ত্বের সর্বসাধনের উপকথা।

আত্মপরিচয় আর শেকড়ের সন্ধান অতীতকে ঘিরেই আবর্তিত হয়। আর যদি তা বিলুপ্ত হয়ে যায়, তাহলে অশনিসংকেত এই বাংলার জঠরে সেঁটে দিয়ে যাবে দাসত্বের অযাচিত চিরকালীন তেলেসমাতি সিলমোহর । সাহিত্য-সংস্কৃতি আর জাতীয় চেতনাবোধের কোনো সঞ্চয় আমাদের জীবনের স্থিতিতে কাজে আসবে না, যদি তার অতীত ধারা বিলুপ্ত হয়ে যায়, এ প্রশ্নটাই সংকটাপন্ন এখন । তবু আমাদের পথচলা অবিরাম ইতিহাসের গতিধারায় এবং তারই স্বরূপ বিশ্লেষণের কিছু অংশ এই সাঁড়া। ঘাটের ইতিকথায় বারবার ফিরে আসে।

অপরাপর পাবনা জেলার এক বিলুপ্ত অধ্যায় নিয়ে আজও প্রবহমান রয়ে গেছে। সাড়াঘাটের ইতিকথা। এক সময়কার উন্মুক্ত ভরা যৌবনের সেই পদ্মার বুক চিরে ভেসে আসত রংবেরঙের ছৈওয়ালা নৌকা, মাঝি-মাল্লার গান আর সাহেব বা জমিদারের বজরা। এছাড়াও অনেক বণিক সওদাগরের ভিড়ও ছিল সাড়াঘাটের ব্যবসা নিয়ন্ত্রনে . এই সাঁড়াঘাটের নামকরণ নিয়ে যত কথাই থাকুক না কেন, এখানকার জনপদ চিন তখন ঐতিহ্যের সমাহারে ভরপুর। যেমন-বম্বাইয়ারা আসত পাট, হলুদ পানসত নন পণ্যের বাণিজ্য নিয়ে। কারণ তৎকালীন ব্রিটিশশাসিত ভারতীয় উপমহাদেশের অনলে বন্দর হিসাবেই এই সাঁড়াঘাটের পরিচিতি ছিল ব্যাপক সাড়াঘাট থেকে কম রেলওয়ে ট্রেন পারাপার হতো ফেরিতে করে রায়টার ঘাটে এবং একটি বিমানবন্দর ছিল সাঁড়া অঞ্চলের পাকশীতে। পরবর্তীতে ঈশ্বরদীতে সেটার স্থানান্তর ঘটে পাশাপাশি ব্যাপক সাড়া জাগানো হার্ডিঞ্জ সেতু তখনকার অন্যতম স্থাপনা। শিক্ষাভে ঝুনঝুন আগরওয়ালা নামের এক মাড়োয়ারি ব্যবসায়ী সাঁড়া মাড়োয়ারি হাইস্কল প্রতি করেছিলেন। সেটা আজও তার পুরাতন ঐতিহ্য নিয়ে ঈশ্বরদীর ব্যস্ততম শহরের উপকণ্ঠে বিশেষ এক প্রত্যয়ে প্রতীয়মান হয়ে আছে। এই সাড়াঘাট ছিল ব্যবসায়ীদের এক বিশেষ প্রাণকেন্দ্র। সাঁড়ার পাকশীসংলগ্ন রূপপুর অঞ্চলের কাছে ছিল পদ্মার জেলে বাঁক। এই জেলে বাঁকে আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র ও আশ্বিন পর্যন্ত সারা দেশের জেলেদের ইলিশ মাছ ধরার মেলা লেগে থাকত। কারণ সাড়াঘাটের কাছ থেকে কুষ্টিয়ার তালবাড়ীয়া পর্যন্ত ছিল ইলিশের এক বিস্তৃত অভয়াঞ্চল। পদ্মার ভরাযৌবনে সেই অভয়াঞ্চলে ইলিশ ধরার এক মহা উৎসব লেগে থাকত এবং নানা ধরনের জাল ব্যবহার করা হতাে। যেমন : বাউলী জাল, ছেকনা জাল, কুনা জাল, শাইংলি জালসহ বহু ধরনের জেলে সামগ্রীর ব্যবহার হতো। শাইংলির ইলিশ খ্যাতি বেশি ছিল, যেটা ঐ জালে ধরা পড়তো। সেই সাড়াঘাটের ইলিশ মাছের গল্প আজও মানুষের মুখে মুখে শােনা যায় যে ডালি ভর্তি বড় ইলিশ ছাড়া কেউ বাড়ি ফেরেনি এবং হিন্দু-মুসলমানের কোন বিয়ে পার্বণেও জেলে বাঁকের ইলিশ ছিল যেন অত্যাবশ্যক। অপরদিকে এই পদ্মার ডাক না কি রাতের অন্ধকারে শােনা যেত দূর-দূরান্ত থেকে, যার বিচিত্র গল্পের সমাহার এখনও লােকজ কথামালা গেঁথেই চলেছে। পদ্মার প্রশস্ততা আর ভীষণ খরস্রোতার প্রচণ্ড প্রকোপে মনুষ্যসভ্যতার নিদর্শনসহ কত শহর, নগর, জনপদ কালে কালে গ্রাস করে ভূ-গর্ভে প্রথিত করেছে তার নিখুঁত-ইতিহাস খুঁজে পাওয়া দুষ্কর, তবু কিছু নীরব সাক্ষী আজও হয়তাে রয়ে গেছে। লক্ষণাবতীর মতো বৃহৎ-রাজধানী, গৌড়ের রাজধানী, বন্দরনগর সে গ্রাস করেছে তার খতিয়ান মেলানো ভার। তাই এই পদ্মার নাম হয়েছে কীর্তিনাশা। এ প্রসঙ্গে বাবু রাধারমণ সাহার বেশ কিছু লেখায় তথ্যভিত্তিক ইতিহাস পাওয়া যায় । তবে ইংরেজ রাজত্বের ১৯০ বছরে তারা সাঁড়ার হার্ডিঞ্জ সেতুসহ অনেক কিছুই প্রতিষ্ঠা করে গেছে। শুধু হারিয়ে গেছে এই সাঁড়া অঞ্চলের লোকজ ও পুরাকালের বেলা। যা ছিল বেলাভুমির বালুকাবেলার বালক-বালিকার বাঁধনহারা বনেদি বাহার। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতি নিয়ে এই সাঁড়া অঞ্চলের পদ্মবিধৌত এক বিপুল জনগোষ্ঠীর আবাস গড়ে উঠেছে। যেখানে সৌহার্দ্য আর সম্প্রীতিতে, তৈরি হয়েছিল এক নদীমাতৃকার সংস্কৃতির মানববন্ধন। সাঁড়া অঞ্চলের লােকজ গান, ছড়া পিঠা-পার্বণ, বিয়ে, নিমন্ত্রণ নিয়ে সব কিছুতেই যেন তাদের এক স্বকীয়তার ছাপ তৈরি করে নিয়েছিল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে। যার ছিটে-ফোটা হয়তো। আজও নীরবে নিভৃতে কেঁদে ফেরে কালের যাত্রার। যেমন : হিন্দুদের পূজা ডুবানো আর জেলেপাড়ার বাউলী গান অনেকটাই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তবুও দু একটি খেলাধুলার বিনােদন কথকতা এমন পাওয়া যায় যে,

  1. খাইটি খেলা এমন খেলা, দশ বারােটা পাইড়ি ফেলা। দশের ঘায়, কচু বনে লটপটা
  2. আমি গেলাম উত্তর, দেখি আইলাম শত্ত্বর। ঢাকার মড়মড়ি কুইলির বাও, হরিণ ধরে বিলির ছাও
  3. কচু বনের মশা রে তুই লম্বা ঠোট, একেক কামুড় দেয়রে মশা কুদাইলেরই কোপ

এখনও অনেক মানুষ সাড়াঘাটের ইতিকথায় কান পাতে, গান আর বাণীবন্দনায় মরা ঘাটের কোলে বসে কাঙ্গালের বাঁশির করুণ সুর শোনে। অথচ ভৌগোলিক কারণেই এই ভূ খণ্ড কিন্তু যুগযুগ ধরেই জনপদের একমাত্র সংযোগস্থল হিসাবেই তার ভূমিকা পালন করে আসছে। এ অঞ্চলের পাশ ঘিরে রূপপুর আণবিক প্রকল্প, পাকশী পেপার মিল, স্টিলমিল এবং সেই সাঁড়ার পুরােন বরফকল সবই আজ বিলুপ্ত ফসিল সমকাঠামোয় জড়াজীর্ণ দশায় নিপতিত। কেবলমাত্র পাকশী ইপিজেড নির্মাণ করে পূর্ণমাত্রায় চালু। হওয়ার প্রতীক্ষাই প্রবল হয়ে আছে। এতে করেই বোঝা যায় ভৌগোলিক গুরুত্বের মাত্রাটা কতটুকু আর ঐ মাত্রা থেকেই ব্রিটিশরা সড়াতে তৈরি করেছিল রেলঅঞ্চলের প্রধান অফিসসহ নানা অবকাঠামো। কিন্তু কালের পরিক্রমায় রাষ্ট্রীয় অ-ব্যবস্থাপনা আর বিভিন্ন মাত্রার পরিকল্পনার জটাজালে রাজনৈতিক সুবিধাভোগীদের নিজস্ব বাণিজ্যপ্রসারকে কেন্দ্র করে সরে গেছে এখনকার সমস্ত কিছুই। অথচ এই সাড়াঘাটের মর্ম উপলব্ধি থেকে গড়ে উঠেছিল বিলেতি বাবুদের বিচিত্র সব বাংলো। আর পাকশী ঈশ্বরদী শহরের ব্যস্ততম জনপদসহ এক বিস্তৃত শহর। আজ দীর্ঘকাল পরে এ জনপদের দিকে দৃষ্টি দিতে গেলে এখানে ধূ-ধূ পদ্মার বালুচর বিলেতি বাবুদের ফেলে যাওয়া কঙ্কালসম ভূতুড়ে বাংলো গুলোর মরুশূন্য বিস্মৃত হাহাকার আর কর্মহীন বেকার মানুষের দীর্ঘশ্বাস ছাড়া তেমন কিছুই যেন পাওয়া যায় না। স্বাধীনতা পরবর্তী কয়েক যুগেও রাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং রাজনৈতিকভাবে এ অঞ্চলের শুধু অবমূল্যায়নই হয়েছে। কিন্তু ভৌগলিক বিচার-বিশ্লেষণে এখনও যদি সঠিক ব্যবস্থাপনা তৈরি করা হয়, তাহলে নিশ্চই এখানে নদী খননসহ বাঁধ নির্মাণ আর নদী শাসনের পরিবর্তন পরিবর্ধন নিয়ে কাজের অগ্রযাত্রা তৈরি করা যায়। তাহলে এ অঞ্চল ঘিরে বহু ধরনের কল-কারখানাসহ রপ্তানিবাণিজ্যের বিস্তারিত প্রসার ঘটানো সম্ভব। কারণ বিপুল সম্ভাবনাময় এই পদ্মা বিধৌত নগর তার পূর্ণাঙ্গরূপ লাভ করবার সুযোগ যদি একবার ফিরে পায়, তাহলে সব ধরনের যোগাযোগসহ এদেশের জিডিপিতে নতুন মাত্রা যোগ হয় জাতিগোষ্ঠীর জন্য আরো একটি সোনালি সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন হবে এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। তবেই সাড়াঘাটের ইতিকথা এসে দাঁড়াবে নতুন কথার ফুলচন্দনের সম্ভার নিয়ে।

তথ্যসূত্রঃ- গদ্যমঙ্গল, সম্পাদক : মতিউল আহসান, মিজান সরকার, বিলু কবীর, সাহিত্য একাডেমি , কুষ্টিয়া, ১৭.৪.২০১৩, পৃষ্ঠা ৩৯২-৩৯৫ হাসান আহমেদ চিশতী: প্রাবন্ধিক, গবেষক।

সংস্কৃতি এর নতুন প্রবন্ধ