রেন উইক যজ্ঞেশ্বর বাঁধ
রেন উইক যজ্ঞেশ্বর বাঁধ

কুষ্টিয়া শহরের পাঁশ ঘেঁষে রয়েছে গড়াই নদী। কুষ্টিয়া শহর রক্ষার্থে দ্বিতীয় যে বাঁধটি রয়েছে সেটির নাম "রেন উইক যজ্ঞেশ্বর বাঁধ"।এই শহরের প্রাণের বাঁধ বলা যাই এক কথায় । শহরের সব পেশার মানুষ বিনোদনের জন্য আসে এই বাঁধে। সবুজে ঘেরা পাঁশ দিয়ে নদীর কুল কুল শব্দে মুখরিত থাকে সারাক্ষণ। নদীর ওপারে দেখা যায় হরিপুর গ্রাম। যখন নদীতে পানি থাকে অসংখ্য শিশু মাছ লাফালাফি করতে দেখা যায়।

বর্তমানে এই মাছ কে মাছ বিশেষজ্ঞরা ছোট তিমি নামে অবহিত করেছে। যখন নদীতে জোয়ার আছে। সব শ্রেণীর মানুষ নৌকা ভ্রমনে যায়। এই বাঁধ থেকে দেখা যায় পদ্মা নদী। অনেকে ট্রলার নিয়ে পদ্মা নদীতে যায়। সেখানে গেলে আরো অপরূপ দৃশ্য। হাড্রিং ব্রিজ এবং লালন সেতু দেখা যায়। তার একটু এগিয়ে গেলে সোলেমান শাহ্‌ মাজার। সে এক অপুরুপ দৃশ্য। পাখি, মাছ, বাতাস এবং পানির কুল কুল রবে সারাক্ষণ মুখরিত।

বাস্তব হলেই সত্য আমাদের এই প্রাণের বাঁধটিতে পর্যটক এসে বসার তেমন কোন সু বাবস্থা নেই। আমাদের দাবি পর্যটক এসে যেন মজা পাই সেই দিকে আমাদের মনোযোগ দেবার সময় হয়েছে।

 

রেন উইক যজ্ঞেশ্বর বাঁধ (Rainweek badh)

কুষ্টিয়া শহরকে রক্ষা করার জন্য তিনটি বাঁধ রয়েছে।

  • কমলাপুর বাঁধ
  • রেন উইক বাঁধ
  • পাবলিক বাঁধ

কুষ্টিয়া শহরের মানুষের কাছে তিনটি বাঁধই খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই বেড়ি বাঁধ গুলা অনেক পুরাতন, এই গুলাকে পুনঃ মেরামত করা খুবই জরুরী। কুষ্টিয়া মানুষের প্রাণের দাবি গড়াই নদীর দুই পাস পাথর দিয়ে বেঁধে দেওয়া।

কুষ্টিয়া মানুষের সুখের এবং দুঃখের বাঁধ। মনে পড়ে যায় সেই দিন গুলা। যখন কেও পরীক্ষাই ফেইল করে। এই বাঁধই তখন তাঁর দুঃখের সাথী হয়। আবার যে পাস করে তাঁর সুখের সাথী হয়।

কপোত কপোতী প্রতিনিয়ত ভিড় জমায়। এই বাঁধটিতে রয়েছে অনেক পুরনো গাছ। অনেকে বলে থাকেন ব্রিটিশ আমলের গাছ। এই সব গাছে রয়েছে হরেক রঙের হরেক পাখি। আমাদের চোখে সব চেয়ে বেশি পড়ে টিয়া পাখি। প্রচুর টিয়া পাখি রয়েছে এই সমস্ত গাছে।

এই বাঁধ আমাদের ঐতিহ্য একে রক্ষাই কুষ্টিয়া শহরের মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে। কিভাবে এই বাঁধ গুলাকে আরো প্রাণবন্ত করা যায় সেই লক্ষে কুষ্টিয়া শহরের মানুষকে কাজ করতে হবে।

কুষ্টিয়া সম্পর্কিত তথ্য