আপনাকে কুষ্টিয়াশহর.কম এর পক্ষ হতে প্রবিত্র রমজান মোবারক 🌙। বাংলা তথ্য ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে আমাদের এই প্রয়াস। ইতিহাস এবং ঐতিহ্যর তথ্য দিতে চাইলে ক্লিক করুন অথবা ফোন করুনঃ- ০১৯৭৮ ৩৩ ৪২ ৩৩

Select your language

সালাউদ্দিন লাভলু
সালাউদ্দিন লাভলু

সালাউদ্দিন লাভলু (ইংরেজী: Salauddin Lavlu) জন্মগ্রহণ করেন ২৪শে জানুয়ারী, ১৯৬০ জুগিয়া, কুষ্টিয়া। তিনি একজন বাংলাদেশী অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার এবং টিভি পরিচালক। তার কাজ সাধারণত টেলিভিশন চলচ্চিত্র এবং টেলিফিল্মের সমন্বয়। তাঁর প্রযোজনার সাধারণত হাস্যরসাত্মক এবং এসব সাধারণত বাংলাদেশী শ্রোতাদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়।

তার উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর মধ্যে ব্যস্ত ডাক্তার (২০০৪),গরুচোর (২০০৭),ঢোলের বাদ্য (২০০৮) এবং ওয়ারেন (২০০৯) এবং উল্লেখযোগ্য টেলিফিল্মগুলোর মধ্যে, রঙের মানুষ (২০০৪),ভবের হাট (২০০৭),ঘর কুটুম (২০০৮),আলতা সুন্দরী (২০০৯) এবং সাকিন সারিসুরি (২০০৯) অন্যতম।

১৯৭৯ সালে লাভলু বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় চলে আসেন এবং আরণ্যক নাট্যদলে থিয়েটারে যোগদান করেন। এখানে তিনি এখানে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন যদিও তার ইচ্ছা ছিল অন্য কিছু করার।

বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) নিজস্ব প্রোডাকশনে কাজ শুরু হওয়ার পর, তিনি বেশ কিছু ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেন কিন্তু তিনি সুখ্যাতি অর্জন করতে পারেন নি। ১৯৯০ এর প্রথম দিকে, তিনি অন্যরকম কাজ শুরু করেন এবং চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৯৭ সালে, ছয় বছর ধরে চিত্রগ্রাহকের কাজ করার পর, তিনি পরিচালক হিসেবে নিজেকে খুজে পাওয়ার লক্ষ্য দেখতে পান।

১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে, লাভলু আট থেকে নয়টি টেলিভিশন চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। এর মধ্যে দ্বিচক্রযান (১৯৯৭),গহরগাছি (১৯৯৭),একজন আয়নাল লস্কর (১৯৯৯),আধুলী (২০০২) এবং ঘর (২০০২) উল্লেখযোগ্য । তার এই কাজগুলো সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন এবং কিছু চলচ্চিত্র বিভিন্ন পুরস্কার জয়লাভ করে। তার এই সকল চলচ্চিত্রে বাংলাদেশের গ্রামের চিত্র অপূর্বভাবে ফুটে উঠে – যা লাভলু অনেক কাঙ্খিত বিষয়। লাভলু বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশের গ্রাম ভিত্তিক এইসব চলচ্চিত্র অনেক উপভোগ্য কারণ এইখানে হাস্যরসের ভান্ডার বিদ্যমান। তিনি আরো বিশ্বাস করেন যে, গ্রামে অনেক সহজে বিভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন চারিত্র বিদ্যমান কারণ, এইসব গ্রামে বিভিন্ন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন বহু সাধারণ মানুষ বসবাস করে। লাভলু বিশ্বাস করে, এইসব মানুষগুলো সেইসব চরিত্র সৃষ্টি করতে পারে যা স্ক্রিপ্ট লেখার জন্য প্রয়োজন।

সাম্প্রতিক এক সাক্ষাতকারে, লাভলু নিজে গ্রামের সাথে জড়িত থাকায় তিনি গ্রাম নিয়ে কাজ করতে উৎসাহ পান।

গ্রামে বসবাসকারী সবাই পরস্পরের সাথে শক্তিশালী বন্ধনে আবদ্ধ থাকে। তারা অনেক স্বচ্ছ এবং সাধারণ মানুষ যাদের ছোট্ট স্বপ্ন এবং ছোট্ট চাওয়া পাওয়া থাকে। তারা তাদের আশেপাশে বসবাসরত মানুষের সহযোগীতা করতে অনেক সচেতন থাকে। যদিও শহরের বসবাসরত মানুষ ঠিক তার উলটো। তারা অনেক একা। তারা তাদের বন্ধু বান্ধব এবং পরিবার পরিজনের বাইরে আরে কেউর তেমন খবরত রাখে না। আরো, যখন শহরের বসবাসরত অধিকাংশ মানুষের ভিত হচ্ছে গ্রামে, এবং যখন তারা আমার নাটক দেখে তখন তারা তাদের জীবনযাত্রা এবং নাটকের চরিত্রে সাথে মিল করতে পারে।
--সালাউদ্দীন লাভলু
 

২০০৪ সাল থেকে, লাভলু অনেক ধরনের ধারাবাহিক টেলিভিশন নাটকে পরিচালনা এবং অভিনয় করেছেন। রঙের মানুষ (২০০৪) তার পরিচালিত প্রথম ধারাবাহিক। এই নাটকের সফলতার পর, তিনি আরো কিছু ধারাবাহিক নাটক নির্মান করেন। তারপর থেকে তিনি টেলিভিশন ধারাবাহিক পরিচালনা এবং অভিনয় করে আসছেন। এর মধ্যে অন্যতম দুইটি হল, ভবের হাট (২০০৭) এবং ঘর কুটুম (২০০৮)। উভয় ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী এবং মোশাররফ করিম। চঞ্চল চৌধুরী লাভলুর অনেক প্রিয় অভিনেতা, কারণ লাভলু মনে করেন চঞ্চল অনেক যোগ্য এবং প্রতিভাসম্পন্ন; লাভলুর অধিকাংশ টেলিভিশন ধারাবাহিক এবং নাটকে চঞ্চল অভিনয় করেছেন।

ধারাবাহিক নাটকের মধ্যে তিনি অনেক টেলিভিশন চলচ্চিত্রে অভিনয় এবং পরিচালনা করেন। যেমন, গরুচোর (২০০৭),পত্র মিতালী (২০০৭),স্বপ্নের বিলাত (২০০৭),ঢোলের বাদ্য (২০০৮),পাত্রী চাই (২০০৯) এবং ওয়ারেন (২০০৯)। তিনি এই নাটকগুলোতে সফলতা এবং পরিচিতি লাভ করেন।

Add comment

কুষ্টিয়া সম্পর্কিত তথ্য

সর্বশেষ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

তথ্য সম্পর্কে খবর

আমাদের নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন এবং আপডেট থাকুন
আমরা কুকিজ ব্যবহার করি
আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে কুকিজ ব্যবহার করি। তাদের মধ্যে কিছু সাইট পরিচালনার জন্য অপরিহার্য, অন্যরা আমাদের এই সাইট এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করতে সাহায্য করে (কুকিজ ট্র্যাক করা)। আপনি কুকিজকে অনুমতি দিতে চান কিনা তা আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। দয়া করে মনে রাখবেন যে আপনি যদি সেগুলি প্রত্যাখ্যান করেন তবে আপনি সাইটের সমস্ত কার্যকারিতা ব্যবহার করতে পারবেন না।