লালন শাঁই এর মাজার, শিলাইদহ কুঠিবাড়ী, লালন শাহ সেতু, রেইন উইক বাধঁ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সাহিত্যিক মীর মোশাররফ হোসেনের বসতভিটা সহ আরো অনেক দর্শনীয় স্থান আছে আমাদের এই প্রানের কুষ্টিয়া জেলাতে। নাম জানা না জানা কত কবি, সাহিত্যিক, গায়ক, বাউল, সাধক, মুক্তিযোদ্ধা এর জন্মভুমি এই কুষ্টিয়া জেলা। আরো আছে খুলনা বিভাগের এর ভেতরে নামকরা কত বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান। ঠিক তেমনি কুষ্টিয়া শহর হতে মাত্র ৮ কিঃ মিঃ দূরে জগতি নামক স্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছে আরো একটি দর্শনীয় স্থান ।

পাঠক বুঝতেই পারছেন আমি কুষ্টিয়া চিনি কলের কথা বলছি। ঘুরে আসতে পারেন একদিন কুষ্টিয়া চিনি কল, দেখার মত অনেক কিছু পাবেন। কুষ্টিয়া চিনি কল লিমিটেড - বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের একটি প্রতিষ্ঠান যা কুষ্টিয়ার জগতি নামক স্থানে অবস্থিত। কুষ্টিয়া চিনি কল লিমিটেড বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় অবস্থিত একটি ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান একটি চিনি কল। যার অবস্থান বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলার জগতি নামক স্থানে এই শিল্প কমপ্লেক্সটি অবস্থিত যা মূল কুষ্টিয়া শহর হতে ৮ কি: মি: দূরে।

ইতিহাস
১৯৬১ সালে এই শিল্প প্রতিষ্ঠানটির নির্মান কাজ শুরু হয়ে ১৯৬৫ সালে সমাপ্ত হয় এবং ১৯৬৫-৬৬ সাল থেকে এটি চিনি উৎপাদন শুরু করে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার এই প্রতিষ্ঠানটিকে রাষ্ট্রায়াত্ত্ব প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করে।

অবকাঠামো
এই বৃহদায়তন শিল্প-কমপ্লেক্সটি চিনি কারখানা, বাণিজ্যিক খামার ও জৈব সারকারখানা এবং অফিস ও আবাসন ভাবনের সমন্বয়ে গঠিত। এখানে চিনি মজুদ করে রাখার জন্য প্রতিটি ৬৫০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার দুটি গুদাম ঘর রয়েছে।

উৎপাদন ক্ষমতা
এই মিলের দৈনিক আখ মাড়াই করার ক্ষমতা ১৫২৪ মেট্রিক টন এবং উৎপাদনের ক্ষমতা ১৫০ মেট্রিক টন।

উৎপাদিত পণ্য
চিনি, চিটাগুড়, ব্যাগাস, প্রেসমাড, জৈব সার।